সদ্য সংবাদ
আমাকে মারতে কর্নেল জিয়াকে নির্দেশ দেয়া হয়; জেনারেল ইকবাল

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। এর আগে, তিনি বেশ কিছু সমসাময়িক বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেন, যা জনমনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। সম্প্রতি, তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে “বিবি, র্যাব, এসএসএফ ও আনসার নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা” শিরোনামে ছয় পর্বের একটি সিরিজ পোস্ট করেছেন।
এই সিরিজের একটি পর্বে তিনি উল্লেখ করেন, একদিন সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে বোমা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অফিসে কর্মরত সবাইকে বের করে দেয়া হয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর, ডাইরেক্ট মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোগল তার টিম নিয়ে বোমা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি নিয়ে দৌড়ে আসেন। আধা ঘণ্টা ধরে অফিসটি তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়, কিন্তু কোনো বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিল্ডিংটিকে বোমামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
জেনারেল ইকবাল বলেন, তিনি তখন জানতে চান, "কি ঘটেছে?" তখন জগলুল তাকে জানান, তার এক অফিসার মেজর সুমন তাকে জানিয়েছেন যে কর্নেল জিয়াকে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এই খবর শুনে ইকবালের শরীরে এক শীতল স্রোত বয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনার পর আমার মেরুদণ্ডে এক অদ্ভুত শীতলতা অনুভব হয়েছিল।"
পোস্টের প্রথম অংশে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিজেপিতে ডেপুটেশনে যাওয়ার পর অনেক অফিসার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেশিরভাগ অফিসার তাদের নীতিবোধ অটুট রেখেছেন।”
তিনি জানান, "আগে সাধারণত পদোন্নতি বঞ্চিত বা কম গুরুত্বপূর্ণ অফিসারদেরকে সেখানে পাঠানো হতো, তবে একসময় সবাই বুঝতে পারে যে বাহিনীকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য যোগ্য অফিসারেরও প্রয়োজন।" কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, মেজর জেনারেল আজিজ দায়িত্ব নেয়ার পর এবং পরবর্তীতে মেজর জেনারেল শাফিন আশায় এসব অফিসার চাপের মুখে পড়েন।
এছাড়া, আনসারের কিছু সিনিয়র অফিসারকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু মূল আনসার ক্যাডারের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ দেখা দেয়। একসময় সেখানে একটি বিদ্রোহ ঘটে, যা নয় ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন কঠোরভাবে দমন করে। তবে সাধারণত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি, শুধু একটি ব্যতিক্রম ছিল।
তিনি বলেন, "যখন আমি সেনাপ্রধান ছিলাম, তখন জানতে পারি যে ওই সময়ের ডিজির বিরুদ্ধে আনসারের নারী সদস্যদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক এবং অত্যাধিক দামে শর্টগান কেনার অভিযোগ উঠেছিল। তবে আমি কিছুই করতে পারিনি, কারণ তার নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যা তাকে কার্যত আমার এখতিয়ার থেকে বাইরে রেখেছিল।"
সাদি/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না