ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিবেন ট্রাম্প

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১০:৫০:৫৭
মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিবেন ট্রাম্প

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরাসরি ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরই ছেড়ে দেবো।"

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠল ট্রাম্প-মোদি আলোচনায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেলে, ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

এক ভারতীয় সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, "আমরা জানি, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পেছনে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ সক্রিয় ছিল। মুহাম্মদ ইউনূস ও জুনিয়র সোরোসের সাম্প্রতিক বৈঠকেও তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপনি এ বিষয়ে কী বলবেন?"

উত্তরে ট্রাম্প বলেন, "না, আমাদের ‘ডিপ স্টেট’-এর এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বহুদিন ধরে এই বিষয়টি দেখছেন। ভারত তো দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে কাজ করছে, তাই বাংলাদেশের ব্যাপারটি আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।"

দিল্লির কূটনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারতের প্রভাব বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর, দিল্লির কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের নেতৃত্বকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত এই প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এতটা আশ্বাস পেলো। যদিও প্রথমদিকে সন্দেহ ছিল, আদৌ বাংলাদেশ প্রসঙ্গ দুই নেতার আলোচনায় আসবে কি না, কারণ ট্রাম্প তখন "ট্যারিফ যুদ্ধ" নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ

বৈঠকের একদিন আগেই, ১৩ ফেব্রুয়ারি, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ঘোষণা দেন—যেসব দেশ আমেরিকান পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক বসায়, তাদের ক্ষেত্রেও পাল্টা শুল্ক বা "রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ" বসানো হবে। তিনি স্পষ্ট জানান, "এই তালিকার শীর্ষে ভারত রয়েছে।"

ধারণা করা হচ্ছিল, দুই নেতার আলোচনার প্রধান বিষয় হবে বাণিজ্য ও ট্যারিফ নীতি, এবং বাংলাদেশের মতো পার্শ্ববর্তী ইস্যু আড়ালেই থেকে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং বাংলাদেশ নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে, এবং ট্রাম্প স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই বিষয়ে ভারতের ভূমিকাই প্রধান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত