সদ্য সংবাদ
শবেবরাতের রোজা রাখার দিন তারিখ জেনেনিন

শবেবরাত বা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ হল শাবান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত, যা মুসলিম বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। যদিও ‘শবেবরাত’ শব্দটি হাদিসে পাওয়া যায় না, তবে এটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ ‘মুক্তির রজনী’। এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে সরাসরি কোরআনে নির্দেশনা না থাকলেও, হাদিসে এর ফজিলত ও বিশেষ আমলের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামের প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে, অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন" (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫)।
এ রাতের বিশেষ আমলসমূহ মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধির একটি সুযোগ এনে দেয়। নিম্নে এ রাতের চারটি গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হল:
১. নফল নামাজ পড়া
শবেবরাতের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত বরকতময়। বিশেষ করে দীর্ঘ সিজদা ও কিরাতের মাধ্যমে ইবাদত করা এই রাতে এক বিশেষ আমল হিসেবে পরিচিত। হাদিসে বলা হয়েছে, নবী (সা.) এই রাতে এমন দীর্ঘ সিজদা করেছিলেন যে, সাহাবি আয়েশা (রা.) ভেবেছিলেন তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। নবী (সা.) নিজেই এই রাতের ফজিলত বর্ণনা করেছেন, "এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত, যখন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন" (শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৩৫৫৪)।
২. তাওবা ও ইস্তিগফার
এই রাতে তাওবা ও ইস্তিগফার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে নেমে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং তাঁদের গুনাহ মাফ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে, আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে অবস্থান করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন" (মুসনাদে বাজজার, হাদিস: ৮০)। এ সময় আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৩. কোরআন তিলাওয়াত
শবেবরাতে কোরআন তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। সাহাবি আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, "পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার কিছু পরিবারবর্গ রয়েছে, এবং যারা কোরআন বেশি বেশি তিলাওয়াত করে, তারা আল্লাহ তাআলার পরিবারবর্গ" (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)। সুতরাং, এই রাতে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা উচিত।
৪. পরের দিন রোজা রাখা
শবেবরাতের পরের দিন রোজা রাখাও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। নবী (সা.) বলেছেন, "১৫ শাবানের রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরের দিন রোজা রাখো" (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)। যদিও এই হাদিসের সনদ কিছুটা দুর্বল হলেও, এর মাধ্যমে শাবান মাসে নফল রোজা রাখার গুরুত্ব প্রতিস্থাপিত হয়। এটি আইয়ামে বীজ, অর্থাৎ প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার সনদে সঙ্গতিপূর্ণ।
শবেবরাতের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য আমাদের উচিত যেকোনো মনগড়া আমল থেকে বিরত থেকে শুদ্ধভাবে উপরের উল্লেখিত আমলগুলো পালন করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের এ রাতের ফজিলত, বরকত ও মাগফিরাত দান করুন। আমিন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য