সদ্য সংবাদ
আন্দ্রে রাসেল ফাঁ'দে ফেলে আউট করেছে খুলনা

আন্দ্রে রাসেল যখন খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে আসেন, তখন যেই বলটিতে তিনি আউট হন, সেটি ছিল খুলনা টাইগার্সের মাস্টারমাইন্ড পরিকল্পনার ফল। বিশেষভাবে, রাসেলের জন্য দুটি লং অফ রাখা হয়েছিল, একটি স্ট্রেইট পিচের দিকে এবং আরেকটি ঐতিহ্যবাহী লং অফ। এই ফাঁদটির উদ্দেশ্য ছিল রাসেলকে এমনভাবে প্রলুব্ধ করা যাতে তিনি লং অন অঞ্চল দিয়ে শট খেলেন এবং ঠিক সেখানেই তিনি আউট হয়ে যান। নাওয়াজের টার্নিং বলের বিপক্ষে শট খেলে, রাসেল উইকেট হারান। এই চমৎকার কৌশল বাস্তবায়িত হওয়া খুলনা টাইগার্সের পরিকল্পনার সাফল্য।
কিন্তু, আসল কৌশল শুধুমাত্র মাঠে ঘটেনা; তার জন্য মাঠের বাইরে কাজ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা টাইগার্সের কোচিং স্টাফের নিখুঁত প্রস্তুতি এবং স্ট্র্যাটেজি দলকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে, এবং এটির পেছনে মেহেদী হাসান মিরাজের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের পাশাপাশি কোচ তালহা জুবায়েরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কোচ তালহা জুবায়েরের মাঠের বাইরে দলের প্রতি মনোযোগ এবং অন্তর্নিহিত চিন্তা দলের ফলাফলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তালহা জুবায়েরের কোচিং শৈলী একেবারে ভিন্ন, যা বিশেষভাবে মাঠে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। তার ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা একদিকে যেমন নিখুঁত, তেমনি তিনি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের সঙ্গে দৃশ্যমানভাবে উপস্থিত থাকেন। এটি তাকে দেশের ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী প্রভাবিত ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অন্যদিকে, খেলার মাঠে যেভাবে জিয়াউর রহমানকে ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খুলনা টাইগার্সের অপরিহার্য পরিকল্পনার অংশ। যদিও স্কোরকার্ডে তার নাম বড় করে লেখা হয় না, তার সাশ্রয়ী বোলিং এবং দক্ষতা কিন্তু ম্যাচের গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এই ধরনের ছোট কিন্তু কার্যকরী সিদ্ধান্তগুলো খুলনা টাইগার্সের কৌশলের প্রাণবন্ত উদাহরণ।
এছাড়া, মুশফিক হাসানকে দলের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সাহসী সিদ্ধান্তও তালহা জুবায়েরের কৌশলের প্রতিফলন। ইনজুরি কাটিয়ে তিনি ফিরে আসার পর, তাকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে কতটা কার্যকর হয়েছে, তা সময়ই প্রমাণ করেছে। এটা অবশ্যই তালহার কৌশলগত চিন্তার পরিচয়।
কোচ তালহা জুবায়েরের এই ধরনের কার্যক্রমের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য, কারণ তার নেতৃত্বে খুলনা টাইগার্স শুধু একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়নি, বরং তারুণ্যের শক্তি এবং দেশীয় কোচিং স্টাফের দক্ষতা একত্রিত হয়ে সাফল্য এনে দিয়েছে।
আমাদের দেশের ক্রিকেটে অনেক সময় বিদেশি কোচ এবং বড় নামগুলো বেশি আলোচিত হয়, কিন্তু তালহা জুবায়েরের মতো স্থানীয় কোচরা, যারা প্রতিদিন মাঠে তাদের পরিশ্রম ও দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরও যথাযথ স্বীকৃতি প্রাপ্য। তাদের অবদান ছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি সম্ভব নয়। তাই, স্থানীয় কোচ এবং কোচিং স্টাফদের গুরুত্ব বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস