ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

১৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় পেসার

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ৩১ ১১:২৭:১৩
১৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় পেসার

রানজি ট্রফি ২০২৪-২৫ মৌসুমে মুম্বাইয়ের ব্যান্ড্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে মেঘালয়ের বিপক্ষে ঘটে গেল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। মুম্বাইয়ের বোলারদের তাণ্ডবে মেঘালয় মাত্র ২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলল, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইতিহাসের দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ সূচনা।

মুম্বাইয়ের শেষ গ্রুপ-স্টেজ ম্যাচটি সামনে রেখে অনেক আলোচনা চলছিল, বিশেষ করে মুম্বাইয়ের জাতীয় দলের তারকাদের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। তবে মুম্বাই শিবিরের হতাশার কিছু ছিল না, কারণ এই ম্যাচে চারটি জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিলেন। শিবম দুবে ইতিমধ্যেই ভারতীয় টি-২০ দল থেকে ডাক পেয়ে গেছেন, আর রোহিত শর্মা, ইয়াশস্বী জৈসওয়াল, এবং শ্রেয়াস আয়ারও জাতীয় দলের ভবিষ্যত সিরিজের প্রস্তুতির জন্য এই ম্যাচে ছিলেন না।

তবে সবকিছুই পেছনে চলে যায় যখন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শারদুল ঠাকুর ও মহিত আভস্থী একে একে মেঘালয়কে ১-২ অবস্থানে ফেলে দেন। কিন্তু এর পরেই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা— তৃতীয় ওভারে শারদুল ঠাকুর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এবং মেঘালয়ের ব্যাটিং লাইনআপে এক বড় ধাক্কা দেন। তিনি আউট করেন বী. অ্যানিরুধ, সুমিত কুমার, এবং জাসকিরত সাচদেবাকে পরপর তিন বলে।

এমন দুর্দিনের মধ্যে মহিত আভস্থী চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আরও একটি উইকেট তুলে নিয়ে মেঘালয়কে ২-৬ এ ফেলে দেন। তখন মেঘালয়ের স্কোর ছিল ২৪-৬। এটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভারতের মাটিতে একটি বিরল ঘটনা। মেঘালয়ের ব্যাটসম্যানরা প্রিংসাং সাঙ্গমা (৬) এবং অধিনায়ক আকাশ কুমার চৌধুরী (১৪) ক্রিজে রয়েছেন।

এটি এখন ইতিহাসে অন্যতম বাজে শুরু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, এবং অনেক বিশ্লেষক এই ঘটনাকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অন্যতম বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন। ২০১০-১১ সালে হায়দ্রাবাদ রাজস্থানের বিপক্ষে ২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল, যা ছিল ভারতের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বনিম্ন। তবে মেঘালয়ের এই কাহিনিতে তারও নীচে চলে গেছে।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ উইকেট হারানোর সবচেয়ে খারাপ সূচনা:

  • ০-৬, ১৬ রান (১৮ ওভার), এমসিসি বনাম সারে (১৮৭২)
  • ২-৬, মেঘালয় বনাম মুম্বাই (২০২৪-২৫)
  • ৩-৬, ৩২ রান (৩৫.২ ওভার), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি বনাম এমসিসি (১৮৬৭)
  • ৪-৬, ২৮ রান (২১.২ ওভার), লেস্টারশায়ার বনাম অস্ট্রেলিয়ান (১৮৯৯)
  • ৪-৬, ৪০ রান (১৪.৪ ওভার), দিল্লি বনাম NWFP (১৯৩৮-৩৯)
  • ৪-৬, ২৭ রান (১২ ওভার), কেরালা বনাম মাইসোর (১৯৬৩-৬৪)

এছাড়াও, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে বিদেশে বা ইংল্যান্ডে ৬ উইকেট হারানোর সবচেয়ে কম স্কোর ছিল ৫-৬, যা ১৮৬৮-৬৯ সালে তাসমানিয়া এবং ১৯০৬-০৭ সালে গ্রীকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট এবং অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ঘটেছিল।

এটি কোনো সন্দেহ নেই যে, মেঘালয়ের এই খারাপ শুরু ক্রিকেট ইতিহাসের একটি ব্যতিক্রমী মুহূর্ত হয়ে থাকবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ