সদ্য সংবাদ
কান্নার চোখে বিজয়ের আবেগ ঘন বার্তা, রাজশাহী দলটাই অগোছালো

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫ এ রাজশাহী দলের পারফরম্যান্স ও দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় আবেগঘন মন্তব্য করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দলের মানসিক অবস্থা অনেকটাই অস্থির, যা তাকে ব্যক্তিগতভাবে হতাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, রাজশাহী দলের বর্তমান অবস্থা এবং পরিবেশ দলের খেলোয়াড়দের জন্য অত্যন্ত ডিমোরালাইজিং (মনোবল নষ্টকারী) হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিজয়ের ভাষ্য, তার সেঞ্চুরি করার সময়ে কিছু সেলফিশ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, কিন্তু তিনি মনে করেন, এক বল বাঁচানোর ক্ষেত্রে সেঞ্চুরিটি অর্জন করা ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিজয় বলেন, "এটা সেলফিশ গেম ছিল না, কারণ এক বলে যদি সাত রান প্রয়োজন হতো, তবে তিনি হয়তো বড় শট খেলতেন। কিন্তু যেহেতু এক বলে প্রয়োজন ছিল নয়, তাই তিনি সেঞ্চুরি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন।"
এনামুল হক বিজয় আরও বলেন, রাজশাহী দলের আবেগপূর্ণ পরিবেশ তার খেলোয়াড়দের উপর একটি চাপ সৃষ্টি করছে, যা মনস্তাত্ত্বিকভাবে তাদের পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিজয় বলেন, "দলের আউটবার্স্ট এবং আক্রমণাত্মক মনোভাব থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, দলের পরিবেশ মোটেও স্থিতিশীল নয়।"
বিজয় তার দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এবং বলেন, "এই পরিস্থিতিতে, খেলোয়াড়দের নিজেদের দক্ষতা এবং ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক মানসিকতা তৈরি করা খুবই কঠিন।"
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে বিজয় বলেন, যে ধরনের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে তাতে কিছু প্লেয়ারদের প্রাপ্য টাকা পাওয়া যায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, "মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এখনও তার ২৫% টাকাও পাননি, যা একেবারে অনৈতিক।"
তিনি আরও বলেন, "যদি প্লেয়ারদের প্রাপ্য টাকা না দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে কোন মোটিভেশন থাকবে না।" এনামুল হক বিজয় মনে করেন, বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে এমন প্রতারণা এবং অস্বচ্ছতা দেশের ক্রিকেটের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ক্ষতিকর।
বিজয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর উচিত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যারা প্লেয়ারদের প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং নিজেদের কমিটমেন্ট পূর্ণ করতে সক্ষম নয়। তিনি বলেন, "বিপিএলের জন্য একটা বাই লজ থাকা উচিত, যাতে এমন ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায়।"
বিজয় মনে করেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অস্বচ্ছতা দেশের ক্রিকেটের মান এবং তার ব্র্যান্ডিংয়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তিনি আরও বলেন, "যদি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমন কাজ করে, তা দেশের ক্রিকেটের পক্ষে ক্ষতিকর। বিপিএলের উদ্দেশ্য ছিল দেশের ক্রিকেটকে একটি আন্তর্জাতিক মানে তুলে ধরা, কিন্তু এভাবে দেশের ক্রিকেটের ব্র্যান্ডিংকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা যাবে না।"
এনামুল হক বিজয় যে বিপিএল এবং রাজশাহী দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তা দেশের ক্রিকেটের একটি বড় দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বিসিবি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "ক্রিকেট বোর্ড যদি এই অবস্থায় কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশের ক্রিকেটের মান কমে যাবে এবং খেলোয়াড়দেরও মোটিভেশন হারাবে।"
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে কিভাবে পদক্ষেপ নেবে এবং দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তা ভবিষ্যতে পরিস্কার হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য