এইমাত্র পাওয়া: ভ*য়া*ব*হ সং*ঘ*র্ষ, ২০ জন নি*হত, ৫০ জন আ*হত

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। দিনজুড়ে সংঘটিত এসব দুর্ঘটনা জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

মধুপুর উপজেলার আশ্রা বাজারে বিকেল ৩টার দিকে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা মজিবুর রহমান ও ছেলে জাহিদুর রহমান নিহত হন। তাদের বাড়ি বড় আশ্রা গ্রামে। এছাড়া সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় বাসের চাপায় সিএনজি চালক সোহরাব হোসেন এবং যাত্রী প্রদীপ পাল মারা যান।

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী শাহাদাৎ হোসেন (১৬), ইকবাল হোসেন (১৭) ও তানজীম আবদুল্লাহ (১৮) নিহত হন। ইকবাল হোসেন মূলপাড়া গ্রামের হাজী বাড়ির মো. খাজে আহমেদের ছেলে এবং শাহাদাৎ একই গ্রামের ওবায়দুল্লার ছেলে।

পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর এলাকায় রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে বাসচাপায় একই মোটরসাইকেলের তিন আরোহী আবু হানিফ (২৫), তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২২) এবং শ্যালিকা যুথি খাতুন (১৪) নিহত হন। তাদের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা ও পালোপাড়া গ্রামে।

শ্রীপুর উপজেলার কাওরানবাজার এলাকায় মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

চৌদ্দগ্রামে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হন। দুর্ঘটনাটি দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাংরা এলাকায় ঘটে।

রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আপন (১৮) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে দুপুর দেড়টার দিকে।

মুলাদীতে ইটভাটার জন্য লাকড়ি বহনকারী অবৈধ টমটমের চাপায় এক কিশোর নিহত হয়। বেলা ১১টার দিকে নোমরহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত এবং ভ্যানচালকসহ আরও দুইজন আহত হন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের তেলকুপি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝিকরগাছা ও মণিরামপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। নিহতরা হলেন ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহ এলাকার বুলু মিয়া গাজী এবং মণিরামপুরের শরণখোলা গ্রামের আফজাল হোসেন (৩৫)।

এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেশের সড়ক ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার দিকে ইঙ্গিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়া এই ধারা রোধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।