ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের নেপথ্যের কারিগর সালাউদ্দীন

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২০ ১৬:০৫:২৭
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের নেপথ্যের কারিগর সালাউদ্দীন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের গল্প লিখেছে। যেখানে টেস্ট সিরিজ ড্রয়ের পর ওয়ানডে সিরিজে হোঁচট খেলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবীয়দের একদমই পাত্তা দেয়নি টাইগাররা। সিরিজ জয়ে ব্যাট-বলে অবদান রেখেছেন একাধিক ক্রিকেটার। তবে এই সাফল্যের পেছনে যে ব্যক্তিটি নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তিনি হলেন প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।

সালাউদ্দীনের সান্নিধ্য: দলকে একত্রিত করার শক্তিসালাউদ্দীন বাংলাদেশ দলের প্রায় প্রতিটি খেলোয়াড়েরই পুরনো পরিচিত। ক্লাব ক্রিকেট কিংবা বিপিএলে তাদের গড়ে তোলার পেছনে এই কোচের ভূমিকা রয়েছে। জাতীয় দলের বর্তমান স্কোয়াডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সামর্থ্য ও দুর্বলতা তার জানা। এ কারণেই তার সঙ্গে কাজ করতে ক্রিকেটাররা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ডাগআউট থেকে হোক বা অনুশীলনে, সালাউদ্দীনের উপস্থিতি ক্রিকেটারদের জন্য ভরসার জায়গা তৈরি করেছে।

ড্রেসিংরুমের ইতিবাচক পরিবেশচন্ডিকা হাথুরুসিংহের সময় ড্রেসিংরুমে যে চাপা উত্তেজনা ও ভয় কাজ করত, সালাউদ্দীনের সময় তা অনেকটাই বদলে গেছে। এখন পরিবেশ অনেক বেশি উন্মুক্ত এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ক্রিকেটারদের মাথার ওপর যেন একটি বড় ছায়া তৈরি হয়েছে। এই নির্ভরশীলতাই তাদের মাঠে সেরাটা দিতে সাহায্য করছে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের সফলতা: একটি ঐক্যবদ্ধ ইউনিটটি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলকে দেখা গেছে একটি সুসংগঠিত ইউনিট হিসেবে খেলতে। তরুণ এবং অভিজ্ঞদের মিশ্রণে দলটি এক সুতোয় বাঁধা ছিল। তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাসকিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদদের পারফরম্যান্স সালাউদ্দীনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সফল প্রয়োগ।

বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের বোলিং এবং তরুণদের সাহসী ব্যাটিংয়ে পুরো সিরিজে ক্যারিবীয়রা পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। সালাউদ্দীনের দক্ষ পরিচালনায় ক্রিকেটাররা মাঠে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছেন।

ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণসফরের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো, এবং ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাই করা ছিল অভাবনীয়। এ ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর কৃতিত্ব ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচিং স্টাফদেরও প্রাপ্য।

ভবিষ্যতের বার্তাসালাউদ্দীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল শুধু একটি সিরিজ জিতেনি, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। দলীয় সংহতি এবং ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকলে টাইগাররা বিশ্বমঞ্চেও নিজেদের উপস্থিতি আরও দৃঢ় করতে পারবে।

এই সিরিজ জয় প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ দলে একজন অভিজ্ঞ এবং ক্রিকেটারদের আপনজন হিসেবে কাজ করতে সক্ষম কোচের উপস্থিতি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে। সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে টাইগারদের সামনে রয়েছে আরও অনেক বড় সাফল্যের সম্ভাবনা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ