অনেক দিন পর ব্যাট হাতে নেমে ছক্কার বৃষ্টি নামালেন তামিম

দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা তামিম ইকবাল জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে মাঠে ফিরেছেন। প্রথম ম্যাচে তেমন কোনো অবদান রাখতে না পারায় তার ফিটনেস ও পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই সমালোচকদের দারুণ জবাব দিলেন ব্যাট হাতে। তার ঝড়ো অর্ধশতকের কল্যাণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম পায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ।

সিলেট একাডেমি মাঠে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) টস হেরে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচটি ১৫ ওভারে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতেও তামিমের ব্যাটে ছিল পূর্ণ উদ্যম। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে প্রতিপক্ষ বোলারদের চাপে রাখেন তিনি।

তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ব্যাটে চট্টগ্রাম উড়ন্ত সূচনা পায়, মাত্র ৬.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৮০ রান। জয় ১৭ বলে ২৯ রান করে বিদায় নিলেও থামেননি তামিম। সিলেটের বোলারদের শাসন করতে থাকেন এই বাঁহাতি ওপেনার। একাদশ ওভারে তোফায়েল আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে তামিম করেন ৩৩ বলে ৬৫ রান। তার এই ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

তামিমের ইনিংস ছিল চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের প্রধান আকর্ষণ। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পরও দলের অন্য ব্যাটাররা বড় স্কোর গড়তে পারেননি। জয় ২৯ রান এবং উইকেটকিপার সাব্বির হোসেন ১২ বলে ১৫ রান করেন। তবে বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হন দুই অঙ্কের রান তুলতে। ফলে চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে।

প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতা ও ফিটনেস নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম তার ব্যাটিং দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, তিনি এখনও কতটা কার্যকর। বিপিএলের আগে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এই ইনিংসটি তার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা জাতীয় দলের দরজা আবারও খুলে দিতে পারে।

তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম সিলেটের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে। তার এই ইনিংস শুধু দলকে সাহায্য করেনি, বরং ক্রিকেটপ্রেমীদেরও আশান্বিত করেছে। তামিমের পারফরম্যান্স যেন আবারও প্রমাণ করল, ফর্ম সাময়িক হলেও ক্লাস চিরন্তন।