অবশেষে দেখা মিলল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের

সাদা দাড়িতে ঢেকেছে মুখ। অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ আগস্টের আগে পরে দেশ ছেড়ে পালান আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। মাঝে মধ্যেই ভারত থেকে টেলিফোনে জানান দিলেও হদিস মেলেনি অন্য অনেক সিনিয়র নেতার।

আর এ নিয়ে গুজবেরও ডালপালা একেবারে কম ছড়ায়নি তবে এই প্রথম চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন পলাতক কয়েকজন কলকাতার একটি পার্কে দেখা পাওয়া গেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সহ কয়েকজনের ভিডিও করা হচ্ছে টের পেয়ে দ্রুত তারা শোট খেয়ে পড়েন।

শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর একে একে গ্রেফতার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তবে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতা গা ঢাকা দেন। নানা গুজব আর কথার ডালপালায় অধিকাংশ পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার অবস্থান সম্পর্কেও কোন তথ্য মেলে নেই।

শুধু শেখ হাসিনাই বিভিন্ন জনকে ফোন করে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে আসছিলেন। ভারতের অজ্ঞাত স্থান থেকে অত দূরে নাই আমি খুব কাছাকাছি আছি জি আপা আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি তবে এই প্রথম খোঁজ মিলল আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার। ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা কলকাতার ইকোপার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মুখে শ্বেতশুভ্র সাদা দাড়ি দূর থেকে দেখে চেনার উপায় নেই। অভিযোগ আছে ৫ আগস্টের আগে তারই নির্দেশে ছাত্রজনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চলে। সারাদেশে ইকোপার্কের রাতে সাধারণত কলকাতার স্থানীয়রা আড্ডা দেয়ার সুযোগ পান সাথে ডিনারের সুযোগ।

নিরাপদ ভেবে সেখানে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার উকিল অপু উকিল ও হাজী সেলিমের ছেলেসহ কয়েকজন নেতা। তবে এ আড্ডা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি কিছু বাংলাদেশী ঝড় হওয়ায় দ্রুতই সটকে পড়েন তারা।

তবে ভিডিও করতে বাধা আসে কিছু অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে সে সময় পার্কে থাকা কিছু বাংলাদেশী বিষয়টি নিশ্চিত করেন চ্যানেল ২৪ এর কাছে। ডাক্তার দেখানোর জন্য গিয়েছিলাম এখন আমরা আমাদের প্ল্যান ছিল পরের দিন আমরা ঢাকাতে ব্যাক করবো কিন্তু আমরা আসলে বিক্রম পার্কে গিয়েছিলাম সন্ধ্যার দিকে ঘুরতে।