ঢাকা, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে কোহলি-স্মিথকে পেছনে ফেললে নতুন ইতিহাস গড়লেন তাইজুল ইসলাম

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৫ ০৮:৪৪:২৩
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে কোহলি-স্মিথকে পেছনে ফেললে নতুন ইতিহাস গড়লেন তাইজুল ইসলাম

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্পিনার তাইজুল ইসলাম। গত মাসেই টেস্টে ২০০ উইকেট শিকারের বিরল কীর্তি গড়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বোলিংয়ের জন্য পরিচিত হলেও, ব্যাট হাতেও মাঝেমধ্যে দলের প্রয়োজনে লড়াই করেন তিনি। এবার সেই লড়াইয়ের আরেকটি প্রমাণ মিললো। টেস্ট ক্রিকেটে বল খেলার হিসাবে ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি এবং অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের মতো ব্যাটিং তারকাদের পেছনে ফেলেছেন তাইজুল।

কোহলি-স্মিথের চেয়ে এগিয়ে তাইজুল

২০২৩ সালে টেস্টে তাইজুল ইসলাম ১৪ ইনিংসে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৫৪০টি বল। অন্যদিকে, বিরাট কোহলি ৭ টেস্টে ১৪ ইনিংসে খেলেছেন ৫১৩ বল। স্টিভেন স্মিথের পরিসংখ্যান আরও পিছিয়ে। তিনি ৬ টেস্টে ১২ ইনিংসে খেলেছেন মাত্র ৪৭১ বল।

তাইজুলের এই পরিসংখ্যান ব্যাটিং তারকাদের লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার না হয়েও বল মোকাবিলার এই সংখ্যাটি প্রমাণ করে, তিনি কেবল বোলার হিসেবে নয়, একজন লড়াকু অলরাউন্ডার হিসেবেও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তাইজুলের সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্স

যদিও ব্যাট হাতে রান করার দিক থেকে পিছিয়ে আছেন তাইজুল। এ বছর ১৪ ইনিংসে তার রান মাত্র ২০৭, ব্যাটিং গড় ১৪.৭৮। তুলনায় বিরাট কোহলি করেছেন ৩৫৫ রান, যেখানে তার গড় ২৯.৫৮।

অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ এ বছর এখন পর্যন্ত ২৩০ রান করেছেন, গড় ২৫.৫৫। তবে স্মিথের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের চেয়ে বল মোকাবিলার দিক থেকে এগিয়ে থাকা তাইজুলের মানসিক দৃঢ়তার বড় উদাহরণ।

তারকা ব্যাটারদেরও পেছনে ফেলেছেন তাইজুল

তাইজুল কেবল কোহলি-স্মিথ নন, বল খেলার হিসাবে পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম, অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন ও ক্যামেরন গ্রিন, এবং ইংল্যান্ডের বেন ফোকসের মতো ব্যাটিং তারকাদের।

কোহলির সামনে সুযোগ

তবে বছরের বাকি সময়ে কোহলির সুযোগ রয়েছে এই পরিসংখ্যানে আবার তাইজুলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে ভারত আরও তিনটি টেস্ট খেলবে। সেখানে ভালো ফর্মে ফিরলে কোহলির পক্ষে তাইজুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব।

এক লড়াকু ক্রিকেটার তাইজুল

তাইজুলের ক্যারিয়ার বরাবরই ধারাবাহিকতার প্রতীক। বোলিংয়ে তার দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, কিন্তু ব্যাট হাতে দলের জন্য লড়াই করার মানসিকতাও তাকে আলাদা করে চেনায়। এই পরিসংখ্যান তাইজুলের সংগ্রামী চরিত্র এবং দলের প্রতি তার নিবেদনকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে।

২০২৩ সালের এই অনন্য কীর্তি প্রমাণ করে, ক্রিকেটে প্রতিভা শুধু রান বা উইকেটের পরিসংখ্যানেই সীমাবদ্ধ নয়। দলের প্রয়োজনে তাইজুলের এমন লড়াই তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ