আবুধাবির টি-টেন লিগে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে উজ্জ্বল বাংলা টাইগার্স। টানা দুই হারের ধাক্কা কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। চতুর্থ ম্যাচে নর্দান ওয়ারিয়র্সকে একপেশে ম্যাচে ১০ উইকেটে হারিয়ে মাঠ মাতিয়েছে সাকিবরা। জয়ের নায়ক হজরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭.৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা টাইগার্স।

টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে চাপে রাখে টাইগার্সের বোলিং আক্রমণ। ইনিংসের প্রথম ধাক্কাটা দেন রশিদ খান। ৯ বলে ১২ রান করা ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি।

এরপর জনসন চার্লসের ১৮ রানের ইনিংস ছাড়া কেউই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। শেরফানে রাদারফোর্ড (৭), আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৪), এবং জিয়াউর রহমান দ্রুত ফিরলে ধুঁকতে থাকে নর্দান।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কলিন মুনরো। মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। মুনরোর ব্যাটিংয়ে ভর করেই নর্দান ওয়ারিয়র্স ৫ উইকেটে ১০৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।

টাইগার্সের বোলাররা ছিলেন একযোগে কার্যকর। রশিদ খান ১টি উইকেট শিকার করেন। ইফতিখার আহমেদ ২টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফিগার তুলে নেন। ডেভিড পেইনও নেন গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট। যদিও সাকিব এক ওভার বল করে ৯ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি।

১০৮ রানের লক্ষ্যকে সহজ কাজ বানিয়ে ফেলে বাংলা টাইগার্সের দুই ওপেনার। হজরতউল্লাহ জাজাই এবং মোহাম্মদ শাহজাদ প্রথম থেকেই মারকুটে মেজাজে ছিলেন।

জাজাই মাত্র ২৩ বলে ৫৩ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা এবং ৩টি চার। অন্যপ্রান্তে শাহজাদ আরও বিধ্বংসী ছিলেন। তিনি ২৫ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

দুজনের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে বাংলা টাইগার্স। কোনো উইকেট না হারিয়ে এমন জয় দলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।

টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর দিল্লি বুলসের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় টাইগার্স। এবার নর্দান ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে আরও দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাল সাকিবের দল।

টানা দুই জয়ে দলটির আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে শিরোপার লড়াইয়ে আরও এগিয়ে যাবে বাংলা টাইগার্স।