ঢাকা, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২

হাসান

রিপোর্টার

মাদ্রাসা ভবনে বি’স্ফোরণ: ককটেলসহ গ্রে’ ফতার ৩ জন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ০০:২২:০১
মাদ্রাসা ভবনে বি’স্ফোরণ: ককটেলসহ গ্রে’ ফতার ৩ জন

হাসান: ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভবনে রহস্যজনক বিস্ফোরণ এবং সেখান থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনাটি আরও পেশাদার ও রোমাঞ্চকর শব্দশৈলীতে নিচে পুনর্লিখন করা হলো:

কেরাণীগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ককটেল ও রাসায়নিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ নারীনিজস্ব প্রতিবেদক, কেরাণীগঞ্জ: ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় অবস্থিত 'উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা' ভবনে এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাদ্রাসার দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিনের দুই শিশু সন্তান গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল সদৃশ বস্তু ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত ও বিস্ফোরক উদ্ধারপুলিশ জানায়, শেখ আল আমিন (৩২) নামের এক ব্যক্তি ২০২২ সাল থেকে ভবনটি ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করছিলেন। একই ভবনের অন্য দুটি কক্ষে তিনি সপরিবারে থাকতেন। বিস্ফোরণের সময় আল আমিনের তিন সন্তানের মধ্যে ১০ বছরের উমায়ের ও ২ বছরের আব্দুর রহমান আহত হয়। তাদের প্রথমে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু, বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মনিটর উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ভয়াবহতা বিবেচনায় সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ও এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) তদন্তে যোগ দিয়েছে।

স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৩, পলাতক আল আমিনের অপরাধ রেকর্ডশনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর শেখ আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া (২৮)-কে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (৩০) ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমাকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মূল অভিযুক্ত শেখ আল আমিন বর্তমানে পলাতক। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালেও সে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসমানী খাতুনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলার রেকর্ড রয়েছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এবং এর পেছনে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ