ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ধূমপানের পর নামাজ কবুল হবে কি

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ২৯ ২০:৩৮:১২
ধূমপানের পর নামাজ কবুল হবে কি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধূমপান একটি ক্ষতিকর ও অপসংস্কৃতিমূলক অভ্যাস। এটি শুধু শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ নয়, বরং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি একটি গুনাহর কাজ হিসেবে বিবেচিত।

ধূমপানের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের সম্পদ অপচয় করে এবং নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি ডেকে আনে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন— "তোমরা নিজেদেরকে নিজের হাতে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না" (সুরা বাকারা: ১৯৫)। এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, আত্মধ্বংসী কোনো কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।

আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, রাসুল (সা.) পবিত্র ও উপকারী জিনিসকে হালাল এবং অপবিত্র ও ক্ষতিকর জিনিসকে হারাম করেছেন (সুরা আরাফ: ১৫৭)। তামাকজাত দ্রব্য নিঃসন্দেহে মানবদেহ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

ধূমপানের পর মুখে যে দুর্গন্ধ হয় তা আশপাশের মানুষদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন— *"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়" (সহিহ বুখারি)।

অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন— "যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন বা তীব্র গন্ধযুক্ত কিছু খেয়েছে, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে, কেননা ফেরেশতারাও মানুষ যেমন কষ্ট পায়, তেমন কষ্ট পায়" (সহিহ মুসলিম)। অথচ বিড়ি বা সিগারেটের গন্ধ পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধের চেয়েও তীব্র ও দূষণকারী।

তাই ধূমপান করে সরাসরি মসজিদে যাওয়া বা জামাতে নামাজ আদায় করাকে ইসলাম মাকরুহ বা অপছন্দনীয় মনে করে। এতে নামাজের ফজিলত কমে যেতে পারে, তবে নামাজ বাতিল হবে না।

তবে ধূমপান করার কারণে নামাজ পরিত্যাগ করা মোটেও সঠিক নয়। বরং ধূমপান ত্যাগের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং নামাজের আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার হওয়া আবশ্যক।

ধূমপান ইসলামে নিরুৎসাহিত এবং গুনাহের কাজ। তবে ধূমপায়ী হলেও নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকা যাবে না। বরং পবিত্রতা বজায় রেখে, সম্ভব হলে ধূমপান ত্যাগের নিয়তে, নিয়মিত নামাজ আদায় করাই মুমিনের কর্তব্য।

আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ