ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না, যা জানা গেল

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ১০ ১৪:৫৩:৪৭
কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না, যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন পাঠক জানতে চেয়েছেন—গর্ভে তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগে গর্ভপাত করালে সেটি গুনাহ হবে কি না? ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে গর্ভপাত সাধারণভাবে অপরাধ এবং গুনাহ হিসেবে গণ্য। তবে যদি এখনো সন্তানের দেহে প্রাণের সঞ্চার (যেমন: হার্টবিট) না হয় এবং মা'র জীবন বিপদের মুখে পড়ে—এমন জরুরি ও বৈধ কারণ থাকলে, তখন নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে গর্ভপাত করা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।

এক পাঠকের প্রশ্ন ছিল—কারও কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পর যদি তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে সেই অর্থ কী করা উচিত? ইসলামি বিধান অনুসারে, এমন অবস্থায় সেই টাকা গরিব-অসহায়দের মাঝে সদকা হিসেবে বিতরণ করা যেতে পারে। এতে সওয়াব মূল ঋণদাতার পক্ষেই পৌঁছাবে।

নারীদের মাসিক চলাকালীন নেইলপলিশ ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়েছে—এই সময়ে যেহেতু নামাজ ফরজ নয়, তাই নেইলপলিশ ব্যবহার বৈধ। তবে পবিত্র হওয়ার পর নামাজ পড়ার আগে নেইলপলিশ তুলে ফেলা এবং পূর্ণরূপে অজু করাই শরিয়তের বিধান।

একটি প্রশ্নে এসেছে—নামাজে যদি ছোট কোনো শিশু সিজদার জায়গায় বসে যায়, তাহলে কী করা উচিত? উত্তর হলো, নামাজ ভেঙে না দিয়ে আলতো করে শিশুকে সরিয়ে দেওয়া বা একটু পাশে সরে সিজদা করলেই যথেষ্ট। এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না।

অনেকেই জানতে চান—পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে মাঝে মাঝে ছোটখাটো মিথ্যা বলা যাবে কি না? ইসলামি শরিয়ত সব অবস্থায় মিথ্যা বলা নিষিদ্ধ করেছে। তবে বিবাদ মেটাতে বা দুই পক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সীমিত পরিসরে ইতিবাচক কথা বলার অনুমতি রয়েছে। তবে ‘শান্তির নামে মিথ্যা’ বলার কোনো সাধারণ অনুমোদন শরিয়তে নেই।

আরও একটি প্রশ্ন ছিল—ফরজ নামাজ শেষে বৈঠকে দুরুদ পড়ার আগেই যদি ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেন, তাহলে কী করা উচিত? অভিজ্ঞ আলেমদের মতে, সে ক্ষেত্রে মুসুল্লি দ্রুত দুরুদ বা দোয়া শেষ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে পারবেন। সংক্ষিপ্ত ও অর্থপূর্ণ দোয়া করাই যথেষ্ট।

কেউ জানতে চেয়েছেন—নামাজে যদি অজান্তে দুশ্চিন্তা চলে আসে, তাহলে নামাজ ভেঙে যায় কি না? শরিয়ত বলে, অনিচ্ছাকৃত চিন্তা গুনাহ নয়। তবে এসব চিন্তা দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখলে নামাজে খুশু-খুজুর নষ্ট হয়, যা নামাজের সৌন্দর্যকে ব্যাহত করে।

আরেকজন জানতে চেয়েছেন—ভাতিজা যদি তাকে 'ছোট আব্বু' বলে ডাকে, তাহলে কোনো সমস্যা আছে কি না? এর জবাব হলো—আমাদের সমাজে ‘ছোট আব্বু’ বা ‘ছোট বাবা’ বলা একধরনের ভালোবাসার রূপক, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে সমস্যা সৃষ্টি করে না।

বয়সে বড় মামাতো বোনকে বিয়ে করা যাবে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, শরিয়তে বয়স কোনো বাধা নয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-ও নিজে তাঁর চেয়ে বয়সে বড় খাদিজা (রা.)-কে বিবাহ করেছিলেন।

শেষ প্রশ্নে একজন জানতে চেয়েছেন—যদি হারাম সম্পর্কের পর বিবাহ হয়, তাহলে সেই সংসারে শান্তি আসবে কি? উত্তর হলো, তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, দাম্পত্য জীবনে ধৈর্য ও সহনশীলতা রক্ষা করা এবং নিয়মিত দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে শান্তির আশা করা যায়।

আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ