ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

অধিকাংশ মানুষ যদি জাহান্নামে যায়, তবে আল্লাহ কেন তাদের সৃষ্টি করলেন

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ২৮ ১৬:৫৪:২৩
অধিকাংশ মানুষ যদি জাহান্নামে যায়, তবে আল্লাহ কেন তাদের সৃষ্টি করলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জাগে—যদি অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে যাবে, তবে পরম দয়ালু আল্লাহ কেন তাদের সৃষ্টি করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে সৃষ্টির উদ্দেশ্য, আল্লাহর হিকমত (জ্ঞান ও প্রজ্ঞা), এবং তাঁর ন্যায়বিচার।

১. সৃষ্টির উদ্দেশ্য: পরীক্ষা

আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য—কে তাঁর নির্দেশ মেনে চলে, আর কে নয়। কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:

“তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন, তোমাদের মধ্যে কে উত্তম কাজ করে।” (সূরা আল-মুলক: আয়াত ২)

এ দুনিয়া হলো পরীক্ষার ময়দান, আর জান্নাত বা জাহান্নাম তার চূড়ান্ত ফলাফল।

২. মানুষ নিজের পথ নিজেই বেছে নেয়

আল্লাহ কাউকে জোর করে জাহান্নামে পাঠান না। মানুষ নিজেই নিজের কর্ম, চিন্তা ও পছন্দ দ্বারা নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। আল্লাহ সৎ ও ভুল—উভয় পথ মানুষের সামনে খুলে দিয়েছেন এবং দিয়েছেন বিবেক, কুরআন, ও রাসূলের দিকনির্দেশনা।

৩. আল্লাহর দয়া সীমাহীন

এক হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাঁর দয়ার শতভাগের মধ্যে দুনিয়ায় মাত্র এক ভাগ প্রকাশ করেছেন—যার কারণে মা সন্তানের প্রতি স্নেহবতী হন, পশুপাখিও নিজের বাচ্চাকে রক্ষা করে। বাকি ৯৯ ভাগ দয়া তিনি সংরক্ষণ করেছেন আখিরাতের জন্য। এই দয়ার কারণে বহু গোনাহগার ক্ষমা পাবে এবং কেউ কেউ জাহান্নাম থেকে মুক্তিও পাবে।

৪. ‘অধিকাংশ’ মানেই নির্ধারিত নয়

কুরআনে অনেক সময় ‘অধিকাংশ মানুষ পথভ্রষ্ট’ বলা হয়েছে সতর্কবার্তার অংশ হিসেবে। এটা সংখ্যাগত কোনো চূড়ান্ত পরিণতি নয়, বরং মানুষ যেন সচেতন হয়, উদাসীন না হয়, এবং নিজের পথ বেছে নিতে পারে সেই সুযোগ দেওয়ার মাধ্যম।

৫. ন্যায়বিচার ও প্রতিদান: জান্নাত ও জাহান্নাম

জাহান্নাম আল্লাহর ন্যায়বিচারের প্রকাশ, আর জান্নাত হলো তাঁর দয়া ও পুরস্কারের নিদর্শন। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারা জান্নাতে যাবে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় ও গাফিলিতে ডুবে থাকবে, তারা নিজের কর্মফলের মুখোমুখি হবে।

আল্লাহ জানেন কে হেদায়েত গ্রহণ করবে আর কে করবে না। কিন্তু কাউকে তিনি বাধ্য করেন না। মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ইচ্ছাশক্তি দিয়ে আল্লাহ স্বাধীনতা দিয়েছেন, যেন তারা নিজ দায়িত্বে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এই প্রশ্ন আমাদের চিন্তাশীল হতে শেখায়। আমাদের দায়িত্ব হলো নিজেকে সেই ‘অধিকাংশের’ তালিকা থেকে রক্ষা করা, যারা গাফেল ও অবাধ্য। আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে যেন তিনি আমাদের হেদায়েত দেন, সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং তাঁর দয়ার ছায়ায় রাখেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত