মানিকগঞ্জে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে হেনস্তা, চাঁদা না পাওয়ায় হামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জে চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক ইসলামিক পোশাক পরিহিত ও দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আরেকজনের দাড়ি ধরে টানছেন এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক কম্পিউটার দোকানে বসা অবস্থায় ওই ব্যক্তি হঠাৎ হামলার শিকার হন। হামলাকারী তাকে কিছু না বলেই দাড়ি ধরে একাধিকবার টান দেন। এ সময় আশপাশে থাকা মানুষজন ঘটনাটি দেখলেও কেউ প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে অনেকেই এর নিন্দা জানান। ইসলামিক ভাবধারার ব্যক্তি ও সাধারণ নাগরিকদের অনেকে এই ঘটনাকে ধর্মীয় লাঞ্ছনার শামিল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. ফয়জুল হক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “শুধু দাড়ি রাখার কারণে কাউকে প্রকাশ্যে হেনস্তা করা স্বাধীন দেশের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এই ধরনের ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে ধর্মীয় পোশাকধারীরা আরও ঝুঁকিতে পড়বেন।”

তিনি আরও বলেন, “দাড়ি টেনে অপমান করা শুধু একজন মানুষের নয়, এটি ইসলামের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। প্রশাসনের উচিত, এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।”

এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই হামলাকারীর পরিচয় জানতে চান এবং তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কাউকে হয়রানি করলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

হাজারো মানুষ সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ার করে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং দায়ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের দাবি—ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে কাউকে হেনস্তা করতে সাহস না পায়।

– প্রতিবেদক, সোহাগ/