সদ্য সংবাদ
এনসিপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব: ভোটের রাজনীতিতে কে লাভবান

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তাতে একক মঞ্চে দাঁড়িয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামি। ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকেও তখন এনসিপিকে সমর্থন জানানো হয়। যদিও একত্রে আন্দোলন চালালেও, পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ শুরু হয়, যা রূপ নেয় প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে।
এনসিপির অভিযোগ, আন্দোলনের মূল ডাক এসেছিল তাদের পক্ষ থেকেই এবং তারা সচেতনভাবেই দলীয় পরিচয় গোপন রেখে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু জামায়াতপন্থী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা 'জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট' লঙ্ঘন করে দলীয় স্লোগান দেয় এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি করে—এ নিয়ে এনসিপির শীর্ষ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে পাল্টা ব্যাখ্যা দেওয়া হয় যে, স্লোগান দেওয়ার ধরন শেখানো হয় না—অনেক সময় মাঠের পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে যায়। যদিও তারা স্বীকার করেছে, জাতীয় ইস্যুতে দলীয় স্লোগান না দেওয়াই উচিত।
এনসিপি আরও পরিষ্কার করে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব গোষ্ঠী বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়, তাদের সঙ্গে তাদের আদর্শগত মিল নেই। এনসিপি দাবি করে, তারা আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের নেতাদের পুনর্বাসনের পক্ষে নয়। বরং তারা মনে করে, ১৯৭১ সালের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের দলগতভাবে বিচার হওয়া প্রয়োজন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপি বুঝে গেছে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। জামায়াতের ভোটব্যাংক দেশজুড়ে থাকলেও সেটি দুর্বল এবং সাংগঠনিক উপস্থিতিও কম। অন্যদিকে, জামায়াতও এখন এনসিপিকে ভবিষ্যতের জন্য বোঝা হিসেবে দেখছে। ফলে দুই দলের মধ্যকার আগ্রহ ও আস্থা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে—এনসিপির পরবর্তী কৌশল কী? তারা কি বিএনপির দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এনসিপি জামায়াত থেকে নিজেদের আদর্শগতভাবে আলাদা প্রমাণ করতে চায়, বিশেষ করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে। এ অবস্থানে জামায়াত কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছে, যা তাদের মনোভাবেও প্রতিফলিত হচ্ছে—তারা আদর্শগতভাবে এখনও নিজ অবস্থান থেকে সরে আসেনি।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে সেই ভোট যাবে কোথায়? একজন প্রবীণ সাংবাদিক মনে করেন, প্রায় ৭০ শতাংশ আওয়ামী লীগ ভোটার ভোট দিতে যাবেন না। বাকি ভোটের একটি বড় অংশ যাবে বিএনপির ঝুলিতে, কিছু তরুণ ভোটার এনসিপিকে বেছে নিতে পারে, আর অল্প কিছু ভোট যেতে পারে জামায়াত বা বামধারার অন্যান্য দলগুলোর দিকে।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনায় তেলের বাজারে ঝড়, হু-হু করে বাড়ছে দাম