ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসলামে মসজিদে হামলার শাস্তি—যা বলেছে কোরআন ও হাদিস

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ০৮ ১১:০৮:৪৩
ইসলামে মসজিদে হামলার শাস্তি—যা বলেছে কোরআন ও হাদিস

নিজস্ব প্রতিবেদক; ইসলামে মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়—এটি শান্তি, পবিত্রতা ও আল্লাহর সান্নিধ্যের প্রতীক। এই ঘর আল্লাহর নামে গড়া, যেখানে মুসলমানরা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও আধ্যাত্মিক উন্নতির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। তাই মসজিদের প্রতি আক্রমণ মানে শুধু একটি স্থাপনার ক্ষতি নয়, বরং তা আল্লাহর ঘরের পবিত্রতা ও সম্মানহানির সমান।

পবিত্র কোরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—মসজিদ আল্লাহর জন্য নির্ধারিত স্থান। হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর প্রস্তুত রাখেন। মসজিদের দেখাশোনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইবাদতের পরিবেশ সংরক্ষণকারীদের জন্য রয়েছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।

সুরা বাকারা, আয়াত ১১৪-এ আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালিম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম নিতে বাধা দেয় এবং সেগুলো ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা করে? এদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে লাঞ্ছনা, আর আখিরাতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।”

ইসলামি দৃষ্টিতে, মসজিদে হামলা, ধ্বংস বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা মারাত্মক গুনাহ। এটি ধর্ম, ইতিহাস এবং জাতিসত্তার ওপর আঘাত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, যারা মসজিদের মতো পবিত্র স্থানকে লক্ষ্যবস্তু বানায়, তাদের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসা অবশ্যম্ভাবী।

একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো—মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং এর ওপর যেকোনো ধরনের হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কারণ, আল্লাহর ঘরের প্রতি কোনো অবমাননা চুপচাপ সহ্য করা যায় না।

সোহাগ আহমেদ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ