ঢাকা, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জুলাই আন্দোলনের পেছনে হাসিনা সরকারের ভূমিকাকে ঘিরে বিতর্ক

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ০২ ২১:৫৩:২২
জুলাই আন্দোলনের পেছনে হাসিনা সরকারের ভূমিকাকে ঘিরে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই মাসের সংঘর্ষ ও নিহতদের সংখ্যা নিয়ে চলমান বিতর্ক নতুন করে সামনে এনেছে সরকার ও জনগণের সম্পর্কের প্রশ্ন। সাম্প্রতিক এক প্রেস কনফারেন্সে ১৪০০ শহীদের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যা প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ছিল এক ধরনের গণহত্যা। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর আবারও উঠছে ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের অভিযোগ।

অনেকের মতে, আদালতের রায় ছাড়া কাউকে ‘খুনি’ বলা উচিত নয়। তবে আইনবিদদের ভাষ্যে, কোনো হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের পক্ষে অভিযুক্তকে ‘খুনি’ বলা ন্যায়বিচারের প্রাথমিক ধাপ হিসেবেই বিবেচিত হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যখন রাষ্ট্রীয় বাহিনী নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস শক্তি প্রয়োগ করে, তখন সেই বাহিনীর ভূমিকা জনগণের সেবক না হয়ে দখলদারের মতো হয়ে ওঠে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই অনেকেই জুলাইয়ের আন্দোলনকে ‘আত্মরক্ষামূলক প্রতিরোধ’ বলে ব্যাখ্যা করছেন।

আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদ-বিরোধী মতবাদ অনুসারে, যেসব গোষ্ঠী মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করে, তাদের সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে নেওয়াই যৌক্তিক। এই তত্ত্বকে সামনে রেখে আন্দোলনকারীদের দাবি—‘ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান সমাজে থাকা উচিত নয়।’

এদিকে, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যম মালিকদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন—তারা কি সত্য প্রকাশ করছেন, না কি শুধু রাষ্ট্রীয় অবস্থানকে বৈধতা দিচ্ছেন?

এই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি মূল প্রশ্ন: জুলাইয়ের ঘটনাগুলো কি রাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতা ছিল, নাকি এক দখলদার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জনগণের আত্মরক্ষামূলক লড়াই?

আইনের দৃষ্টিতে এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এখন জরুরি। কারণ, যদি পুলিশ হত্যার অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তবে সেটি আইন ব্যবস্থার অপব্যবহার হিসেবে দেখা উচিত।

আন্দোলনকারীদের আহ্বান—শেখ হাসিনা সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ এবং ‘দখলদার’ হিসেবে চিহ্নিত করে সত্যের নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করতে হবে।

বিচার হয়তো পরে আসবে, কিন্তু ন্যায়বিচারের দাবি এখনই।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ