সদ্য সংবাদ
গুজবের শিকার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি মিথ্যা তথ্য কখনো কখনো পুরো জাতিকে নাড়া দিতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে বিভ্রান্তি, উত্তেজনা ও সামাজিক অস্থিরতা। আর তাই সত্য ও মিথ্যার ব্যবধান চেনা জরুরি। এই সচেতনতা থেকেই শুরু হয়েছে “রিউমার চেক” নামে একটি উদ্যোগ—গুজবের বিপরীতে তুলে ধরা হচ্ছে তথ্যভিত্তিক সত্য।
সম্প্রতি এমনই এক গুজবে পড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভুয়া ছবি, যেখানে ডিবিসি নিউজের লোগো ব্যবহার করে দাবি করা হয়, মির্জা ফখরুল নাকি বলেছেন—“ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে দেশে চাঁদাবাজি বেড়ে যাবে।” এটি ছিল ডিজিটাল কারসাজির একটি উদাহরণ। ‘রিউমার স্ক্যানার’ নামের ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে— এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। মির্জা ফখরুল এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি, আর ডিবিসিও এমন খবর কখনো প্রকাশ করেনি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। একই রাতে ফেসবুক-ইউটিউবজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি ভয়াবহ গুজব:
গুজব ১: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ভিআইপি সেলে হামলায় সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারপতি মানিক নিহত। সত্য: এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গুজব ২: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পদত্যাগ করেছেন। সত্য: তিনি এখনও দায়িত্বে আছেন। ব্লগস্পটের মতো অবিশ্বস্ত সাইটে ছড়ানো হয় গুজবটি।
গুজব ৩: সৌদি যুবরাজের ছবি অবমাননার জেরে সৌদিতে ২০ হাজার বাংলাদেশি গ্রেফতার। সত্য: এটি ভুয়া খবর। প্রথম আলো এমন কিছু প্রকাশ করেনি, ফটোকার্ডটিও নকল।
গুজব ৪:এক নারীর উপর বর্বর নির্যাতনের ভিডিও—দাবি করা হয় এটি বাংলাদেশের ঘটনা। সত্য: ভিডিওটি ২০২৩ সালে নির্মিত একটি অভিনীত দৃশ্য, বাস্তব নয়।
এসব উদাহরণ দেখিয়ে দেয়—রাজনীতি, ধর্ম ও আন্তর্জাতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই ছড়ানো হচ্ছে গুজব। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া আইডি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে এ কাজে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. মনিরুল ইসলাম আখুন (অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল) বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক হাতিয়ার, যা একজন নির্দোষকে দোষী আর দোষীকে নির্দোষ বানিয়ে দিতে পারে। যদি সত্যকে তুলে ধরা না হয়, তাহলে সমাজে অরাজকতা বাড়বেই।”_
তিনি আরও বলেন, “গুজবের মূল উদ্দেশ্য অনেক সময়ই রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ধ্বংস করা। তাই প্রতিটি গুজবের জবাবে সত্য তথ্য তুলে ধরা, এবং গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।”_
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “আইন হওয়া উচিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়। তবে আইন প্রয়োগে যেন নির্দোষ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”_
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এখনো উপনিবেশিক আইনের ছায়া রয়ে গেছে। এ কাঠামো বদলে গুজব মোকাবেলায় প্রযুক্তিনির্ভর শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে।”_
একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে তথ্যের ভিত্তিতে—না যে খবর বেশি শেয়ার হয়, বরং যে তথ্য সত্য। তাই গুজব প্রতিরোধে আমাদের প্রথম কাজ—সন্দেহ করুন, যাচাই করুন, তারপরই শেয়ার করুন।
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। কারণ একটি শেয়ারও হতে পারে ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তির কারণ।
—সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জিতল ভারত
- ১৮,২১,২২ ক্যারেট সোনার দাম
- চলন্ত ট্রেন থেকে ঝুলিয়ে রেখে ধাক্কা, ভাইরাল সেই ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনা ও রূপার দাম
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- মহার্ঘ ভাতা না বাড়ালে আত্মহত্যার হুমকি সরকারি কর্মচারীদের
- “আমরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত”: সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের দাবি
- বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, আরব সাগরে আসছে ‘শক্তি’
- মহার্ঘ ভাতা নিয়ে চুড়ান্ত ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- পদ্মা সেতুর চেয়েও দ্বিগুণ বড় সেতু পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ভোক্তা অধিকার পরিচালকের ওপর হামলার ভিডিও ভুয়া, জানালেন তিনি নিজেই
- পরীমণির মৃত্যুর গুজব: সত্যিটা কী!
- সেনানিবাসে আশ্রয় ৬২৬ জনের, প্রকাশিত হলো পূর্ণ তালিকা
- ভোজ্য তেল দাম বাড়লো লিটারে ৩৫ টাকা
- গরমে মেয়েরা বাসায় গেঞ্জি পরলে গুনাহ হবে কি