সদ্য সংবাদ
ইসরায়েল নিয়ে পাসপোর্ট নীতিতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত, কড়া প্রতিক্রিয়া ইসরায়েলি মিডিয়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত এবার আন্তর্জাতিক নজর কাড়ছে। ইসরায়েলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল (রোববার) প্রকাশিত এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় পাসপোর্টে “এই পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশে বৈধ”—এই নিষেধাজ্ঞামূলক বাক্য ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ কখনোই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে ইসরায়েল ভ্রমণ বাংলাদেশিদের জন্য আইনত নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা কয়েক দশক ধরে পাসপোর্টে ছিল, তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের শেষ দিকে এটি সরিয়ে ফেলা হয়—বিশ্বমান বজায় রাখার যুক্তিতে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়। যদিও তখনও বাংলাদেশিদের ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল, এবং দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে ঢাকায় বিশাল এক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার (১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় এক লাখ মানুষ ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জড়ো হন। তারা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেন এবং ফিলিস্তিনের শত শত পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি জুতা দিয়ে আঘাত করেন—ইসরায়েলের প্রতি তাঁদের সমর্থনের প্রতিবাদে।
আয়শা/