ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

জাতিসংঘের মন্তব্য: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার সম্পর্কে যা বলা হলো

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ১৬ ১০:৩৩:৫৪
জাতিসংঘের মন্তব্য: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার সম্পর্কে যা বলা হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব এই উদ্বেগের কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার সফর শুধু ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই নয়, বরং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং গণতন্ত্রের উত্তরণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ার পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য যা কিছু করতে পারেন, করবেন এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন।

তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ মহাসচিবের সমর্থন বাংলাদেশের জনগণের একত্ম আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের সফল সংস্কার প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে সহায়ক হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, মহাসচিব যুব, সুধীসমাজ এবং সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এই গোষ্ঠীগুলোর অবদান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচনী, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ খাতে সংস্কারের কাজ করছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের রমজান সলিডারিটি ভিজিট, যা বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

তিনি বলেন, ন্যায়পরায়ণ, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মহাসচিব নিজেই নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

রানা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ