সদ্য সংবাদ
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু: সত্যিই কি তার শাসনকালের শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ হাসিনার শাসনকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলেও, তার শাসনের পেছনে রয়েছে নানা অন্ধকার দিক। তার রাজনৈতিক পতন বা 'রাজনৈতিক মৃত্যু' কখনো না আসলে, এটি চিরকাল একটি প্রশ্ন হয়ে থাকবে। আজও তার শাসনের সময়কার নিঃসঙ্গতা, হত্যাকাণ্ড, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা সমাধান হয়নি।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বের রাজনৈতিক উত্তেজনা, দেশের স্বার্থ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন যেন এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলাতক অবস্থায় থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, এই শাসক কি কখনো তার অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে?
১৯৮১ সালে দিল্লি থেকে দেশে ফিরে আসার পর শেখ হাসিনা বর্তমানে আবার দিল্লিতে পালিয়ে আছেন। ভারত সরকার তার অবস্থান গোপন রেখেছে, যা তার অবস্থানকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনা সরাসরি হত্যাকারীদের সাহায্য করেছিলেন। তার নির্দেশে সেনাবাহিনীকে পিলখানা থেকে দূরে রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, যা হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশে গুম-খুনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সরাসরি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। তার নির্দেশে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীর কিছু অংশ এসব হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি চালানো হয়, এর মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়, যেখানে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন। তার শাসনামলে বাংলাদেশকে ভারতের রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনে নিয়ে এসে দেশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হতে পারে।
শেখ হাসিনার শাসনকালে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার কোনো সমর্থন নেই এবং তাকে পলাতক অবস্থায় জীবন কাটাতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ