সদ্য সংবাদ
সিরিয়া থেকে ভয়াবহ সতর্কতা, বাংলাদেশকে সাবধান হওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: যদিও সিরিয়া বাংলাদেশের থেকে প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার দূরে, তবে দেশটির চলমান অশান্তি এখন বাংলাদেশেও স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। ২০২৪ সালে, যেখানে শেখ হাসিনার মতো সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদকেও দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেখানে উভয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ছিল— তারা স্বৈরাচারী শাসক।
একদিকে, শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে কঠোর শাসন চালিয়ে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়েছেন, অন্যদিকে সিরিয়ার শিয়া প্রধান শাসক বাশার আল-আসাদ এখনও তার বাবার নামে শাসন চালাচ্ছেন। উভয় দেশের জনগণই তাদের শাসন থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছে। এরপর, দুই দেশের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়; বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়েছেন ড. মোহাম্মদ ইউনুস, এবং সিরিয়ায় আহমেদ আল-সারা।
সিরিয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি বর্তমানে প্রতিশোধের আগুনে পুড়ছে, যেখানে ইতিমধ্যেই ১,০০০ এরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত ডিসেম্বরে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS) ও তাদের সহযোগী জৈশ আল-ইজ্জা যৌথ বাহিনী দামেস্কে আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দখল করেছিল। তবে, আসাদের সমর্থক বাহিনী আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে তাদের ধ্বংস করছে। সিরিয়ায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশও অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন অঘটন ঘটছে, এবং রাস্তাঘাটে পরিস্থিতি সংকটময় হয়ে উঠেছে। জনমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ড. ইউনুস জানিয়েছেন, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য একটি পলাতক দল সক্রিয় রয়েছে। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, আওয়ামী লীগ এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ৫ আগস্টের অপমানের পর আওয়ামী লীগের একাংশ, যদিও প্রকাশ্যে আসছে না, কিন্তু তাদের মধ্যে ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার ফোন রেকর্ড ফাঁস হলে, তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার পর তার হুমকি কথাও প্রকাশিত হয়েছে।
এখন, পরিস্থিতি সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার মতো বাংলাদেশেও পরিস্থিতি যদি একই পথে চলে, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে। যারা স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ মুক্ত করেছেন, তারা কখনও চান না আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক, এবং এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে পারে। এটি সিরিয়ার পরিস্থিতির চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে, কারণ পরাজিত শক্তি এমন একটি দেশের দ্বারা সমর্থিত হচ্ছে, যে শুধু নিজের স্বার্থে সব কিছু করতে পারে।
সিরিয়া থেকে যে বার্তা বাংলাদেশে এসেছে, তা থেকে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন। সরকারকে আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং জনগণকেও চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
আয়শা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর? আসল ঘটনা কী বলছে
- পাল্টা হামলায় কত সেনা হারাল ভারত, অবশেষে তথ্য দিল দিল্লি
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা জানালো আমেরিকা
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : কতদিন সরকারি ছুটি থাকবে
- এএসপি পলাশকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তার বোন ও দুলাভাই
- “আমরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত”: সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের দাবি
- পাকিস্তানের সেনাপ্রধান গ্রেপ্তার! ভেতরের সত্য যা জানা গেল
- টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জিতল ভারত
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর যা বলছে ভারত
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাসে প্রথম তদন্ত সম্পন্ন
- পদ্মা সেতুর চেয়েও দ্বিগুণ বড় সেতু পাচ্ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইল যুক্তরাষ্ট্র