আওয়ামী লীগ-বিএনপি ব্যাপক সং ঘ র্ষ: বাড়িতে হামলা ও লুটপাট, আহত ১০, নিহত.....

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুব্বরের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, হামলায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর ৮৫ বছর বয়সী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হামিদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই ঘটনার জেরে প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং লুটপাট করে।

হামলায় আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুব্বর এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

হামলার বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদ। তিনি দাবি করেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার সমর্থকরা জড়িত নন এবং বিষয়টি তার জানা নেই।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে। পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের এবং জড়িতদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

সালথার এই ঘটনা রাজনৈতিক বিরোধ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের প্রতিফলন। এ ধরনের সংঘর্ষ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখা।