সদ্য সংবাদ
একলাফে বাড়বে তেলের দাম

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার দাম বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং চীনের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে জ্বালানির চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা চলতি বছরজুড়েই বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকনোমিকস।
অপরিশোধিত তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি
ট্রেডিং ইকনোমিকসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ছিল ৭৩.৪০ ডলার। এক সপ্তাহে এর দাম বেড়েছে ৩.৯৬ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে WTI তেলের দাম ৭৩ ডলার ছাড়িয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭৫.০৪ ডলারে পৌঁছাবে। বছরের শেষে এই মূল্য আরও বাড়বে, যা দাঁড়াবে ৭৮.৫২ ডলারে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও একইভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের মূল্য ৭৬.১৮ ডলার। বছরের শেষ নাগাদ এটি ৮১ ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্যাসোলিনের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত
বিশ্ববাজারে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিনের বর্তমান মূল্য ২.০৬ ডলার। বছরের বাকি সময়জুড়ে এই দাম বাড়তে থাকবে এবং ডিসেম্বরে এটি ২.২২ ডলারে পৌঁছাবে।
কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি
বিশ্ববাজারে কয়লার বর্তমান দাম প্রতি টন ১২৪.৬০ ডলার। যদিও এক মাসের ব্যবধানে কয়লার দাম সামান্য কমেছে, তবে বছরের শেষে এই দাম বেড়ে প্রতি টন ১৩৪.৬৭ ডলারে পৌঁছাবে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি এক মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৩.৬৬ ডলার। বছরের শেষ প্রান্তিকে এই দাম ৪.৫৮ ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও বৈশ্বিক প্রভাব
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক নীতি, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালজুড়ে জ্বালানির দাম ক্রমাগত বাড়বে।
এই পরিস্থিতি আমদানি-নির্ভর দেশগুলোর জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ হতে পারে। দাম বৃদ্ধি সরাসরি ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি শ্লথ করতে পারে।
২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির বাজারে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং জ্বালানির ব্যয় কমাতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস