ঢাকা, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উল্টে যাচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক মেরু, সূর্য উঠবে পশ্চিমে, মানবজাতির জন্য বিশাল বিপদ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৮ ২২:০৪:৩৯
উল্টে যাচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক মেরু, সূর্য উঠবে পশ্চিমে, মানবজাতির জন্য বিশাল বিপদ

বিশ্বের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা পৃথিবী এবং মানবজাতির ভবিষ্যতকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে—পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর উল্টানো। যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তবে এর ফলে উদ্ভূত বিপদ হতে পারে বিপর্যয়কর, যা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পৃথিবীর চারপাশে একটি অদৃশ্য চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে, যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এই চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীকে সূর্যের তীব্র রশ্মি এবং মহাকাশের অন্যান্য ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার নিজের অক্ষের উপর ঘুরে এবং এর কেন্দ্রের গলিত লোহা চক্রাকারে ঘুরে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। তবে, পৃথিবীর চৌম্বক মেরু নিয়মিতভাবে পরিবর্তিত হয়ে থাকে এবং এই পরিবর্তন প্রায় প্রতিটি দুই থেকে তিন লাখ বছরে একবার ঘটে।

গবেষকদের মতে, পৃথিবীর চৌম্বক মেরু যখন উল্টে যায়, তখন পৃথিবীর প্রাণীকুলের জন্য এক ভয়ানক বিপদ হতে পারে, যা পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের এক বিশাল অংশ বিলুপ্ত করে দিতে পারে—এটি 'ম্যাস এক্সটিংশন' নামে পরিচিত। কারণ, চৌম্বক ক্ষেত্রের দুর্বল হওয়ার ফলে পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই রশ্মিগুলো প্রাণীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।

সর্বশেষ চৌম্বক মেরু উল্টানোর ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার বছর আগে। তবে, আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সাল থেকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, সাউথ আটলান্টিক এনাম নামে একটি অঞ্চলে চৌম্বক ক্ষেত্র প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে, যা পৃথিবীর এক-পঞ্চমাংশ অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এই দুর্বলতার কারণে, গবেষকরা ধারণা করছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর চৌম্বক মেরু উল্টে যেতে পারে।

যদি এমনটি ঘটে, পৃথিবীর যে উত্তর মেরু পরিচিত, তা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলে যাবে এবং সূর্য উঠবে পশ্চিম থেকে—এটি হবে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী এবং মানবজাতির জন্য বিপুল ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চৌম্বক ক্ষেত্রের দুর্বলতার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, যেমন এক্স-রে এবং গামা রশ্মি, পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

এছাড়া, পৃথিবীতে ভূমিকম্প, ভূমিধস, অগ্নুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সার্কিট, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে স্যাটেলাইট, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট—কোনো কিছুই কাজ করবে না। এতে মানবজাতি এক সময় অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে পারে, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির অস্তিত্ব থাকবে না।

বিশেষত, কিছু মুসলিম আলেম এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, হাদীসে বর্ণিত কেয়ামতের পূর্বে পশ্চিম থেকে সূর্য উঠবে—এটি হয়তো পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর উল্টানোর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো স্থির সমাধান পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর উল্টানো মানবজাতির জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যা অদূর ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। জ্যামাইকায় কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে... বিস্তারিত



রে