ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোফ রাখলেই মৃত্যুদণ্ড: চরমপন্থার ভয়াল থাবা

২০২৫ মে ০৩ ২১:২৯:০৬
গোফ রাখলেই মৃত্যুদণ্ড: চরমপন্থার ভয়াল থাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শৌখিনতার জন্য প্রাণ দিতে হবে—এমন বাস্তবতা যেন এখন সত্যি হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, বিশেষ করে পেশোয়ারে। সেখানে বহু পুরুষ গর্বের সঙ্গে লালন করেন বড় ও ঘন গোফ—পুরুষত্ব, সম্মান আর শক্তির প্রতীক হিসেবে। কেউ কেউ গোফে তেল দেন, যত্ন করেন, এমনভাবে বাঁকিয়ে রাখেন যে সেটি যেন এক শিল্পকর্ম।

কিন্তু এই সাংস্কৃতিক শৌখিনতাই আজকাল হয়ে উঠেছে জীবন ঝুঁকির কারণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী এসব ‘অসাধু’ গোফপ্রেমীদের নিশানা করছে। তারা দাবি করছে, বড় গোফ রাখা ইসলামবিরোধী। তাদের মতে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছোট গোফ রাখতেন, তাই মুসলমানদেরও তেমনই হওয়া উচিত। আর যারা তা মানছে না, তাদের দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুর হুমকি—“গোফ কেটো, না হলে প্রাণ যাবে।”

পেশোয়ারের এক সেলুন মালিক জানান, মুখ ঢাকা কয়েকজন ব্যক্তি তার দোকানে এসে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, “এই গোফ কাটা হবে, না হলে তুমি থাকবা না।” এমন হুমকির মুখে পড়ে অনেকে ভয়ে নিজেদের বহু বছরের শখ বিসর্জন দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এখনও প্রতিবাদের ভাষায় বলছেন—“আমার গোফ, আমার অধিকার।”

এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঢেউ। অনেকেই বলছেন, গোফ রাখা বা না রাখা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দেওয়া ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘনের সামিল। শুধু ধর্ম নয়, এটা সাংস্কৃতিক পরিচয়, স্টাইল ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক বলেই দাবি গোফপ্রেমীদের।

বর্তমানে গোফ হয়ে উঠেছে পাকিস্তানে এক নিঃশব্দ অথচ গভীর সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় দ্বন্দ্বের প্রতীক—যেখানে শৌখিনতা, মৌলবাদ, এবং ব্যক্তি অধিকারের মধ্যে শুরু হয়েছে এক অনির্ধারিত যুদ্ধ।

আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে আবারও দেখা হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের—বাংলাদেশ ও ভারত। আগামী ১৮ মে ভারতের অরুণাচল... বিস্তারিত