২০২৫ সালে পৃথিবীর ধ্বংসের সূচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সাল নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে, এই বছরটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বুলগেরিয়ার বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গার কিছু বিখ্যাত ভবিষ্যৎবাণী, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—যুদ্ধ, ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির বিপ্লব।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে পৃথিবীতে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের সূচনা হতে পারে, যা সিরিয়ার পতনের পর শুরু হবে। এই সংঘাত ধীরে ধীরে পূর্ব ও পশ্চিম বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। তার মতে, একটি পক্ষ সাময়িক বিজয় অর্জন করতে পারে, তবে চূড়ান্ত জয় সম্ভব হবে না।

আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, তিনি দাবি করেছিলেন যে, ২০২৫ সালেই মানবজাতি প্রথমবারের মতো ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। তবে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, এই যোগাযোগ মানবজাতির জন্য সংকট তৈরি করতে পারে এবং এর ফলে পৃথিবীতে এক ধরনের বৈশ্বিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।

প্রযুক্তির দিক থেকেও বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল অত্যন্ত বিস্ময়কর। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভবিষ্যতে মানুষ টেলিপ্যাথি বা মস্তিষ্কের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, যা আজকের নিউরালিঙ্ক প্রযুক্তির সাথে বেশ মিলে যায়।

তবে ২০২৫-এর পরও বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী থেমে থাকেনি। তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি এমন:

২০২৮: মানবজাতি শুক্র গ্রহে শক্তির সন্ধানে অভিযান শুরু করবে।

২০৩৩: পৃথিবীর বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বিপজ্জনকভাবে বাড়বে।

২০৭৬: সমাজতন্ত্র বিভিন্ন দেশে নতুন করে বিস্তার লাভ করবে।

২১৩০: ভিনগ্রহবাসীদের সাথে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হবে।

৩৭৯৭: পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

৫০৭৯: পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস ঘটবে।

যদিও অনেক গবেষক এসব ভবিষ্যদ্বাণীকে কাল্পনিক বা প্রতীকী হিসেবে দেখে থাকেন, তবুও ২০২৫ সালকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল এবং শঙ্কা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আয়শা সিদ্দিকা/