ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কেন মহাকাশে বেলুন সারাবিশ্বে হইচই

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৩ ১২:২৭:০৪
কেন মহাকাশে বেলুন সারাবিশ্বে হইচই

নিজস্ব প্রতিবেদক: জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কন্ডমের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে খুবই পরিচিত। নানা রঙ, গন্ধ ও ডিজাইনে তৈরি এই সামগ্রী পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদাভাবে বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন—একসময় এই কন্ডমই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল মহাকাশ অভিযানে! তবে সেটি জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়, এক অদ্ভুত সমস্যার সমাধানে।

ঘটনাটি ১৯৬১ সালের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নভোচারী অ্যালান শেপার্ড মহাকাশ যাত্রার প্রস্তুতিতে ছিলেন। উড়ান শুরুর আগেই তাকে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়েছিল রকেটের ভেতর। কিন্তু টয়লেট ব্যবস্থা না থাকায়, শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তাকে নিজের স্পেসস্যুটেই প্রস্রাব করতে হয়। এতে স্পেসস্যুট ভিজে যায় এবং নাসা বেশ বড় এক সমস্যার মুখে পড়ে।

এই অভিজ্ঞতা থেকেই নাসা বুঝতে পারে, মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে নভোচারীদের ‘প্রাকৃতিক প্রয়োজন’ মেটানোর একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি থাকা জরুরি। তাই তারা তৈরি করে বিশেষ এক ডিভাইস—যার কাজ ছিল প্রস্রাব সংগ্রহ করা। দেখতে ছিল অনেকটা কন্ডমের মতো, তাই নাম দেওয়া হয় ‘কন্ডম ক্যাথেটার’।

এই যন্ত্রটি নভোচারীর শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হতো এবং একটি টিউবের মাধ্যমে প্রস্রাব একটি ব্যাগে জমা হতো। সবকিছুই ঘটত স্পেসস্যুটের ভেতরে, যেন প্রস্রাব মাধ্যাকর্ষণহীন মহাকাশে ভেসে না যায়।

তবে শুরুতে এটি ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সব নভোচারীর শারীরিক গঠন এক না হওয়ায় একটি নির্দিষ্ট সাইজ সবার জন্য ঠিকমতো কাজ করত না। অনেক সময় ফুটো হয়ে যেত, যা খুবই বিব্রতকর ও বিপজ্জনক হয়ে উঠত। পরে নাসা ছোট, মাঝারি ও বড়—এভাবে তিন সাইজের কন্ডম ক্যাথেটার তৈরি করে।

শেষমেশ আরও আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি এসে এসব প্রাথমিক ব্যবস্থা পেছনে ফেলে দেয়। এখন নারী ও পুরুষ উভয় নভোচারীর জন্য নিরাপদ, কার্যকর ও ব্যবহারবান্ধব টয়লেট সিস্টেম রয়েছে।

এইভাবেই, এক সময় মহাকাশে কন্ডম ছিল এক আজব কিন্তু জরুরি সমাধান!

সোহাগ/

ট্যাগ: কন্ডম

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ