সদ্য সংবাদ

MD: Razib Ali
Senior Reporter
বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: কঠিন শাস্তির ঘোষণা বিসিবি সভাপতি ফারুকের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫ আসরকে ঘিরে ফিক্সিং সন্দেহে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যেকোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) বেশ কিছু অজ্ঞাত সূত্র ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মোট আটটি ম্যাচকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এছাড়া, ১০ জন খেলোয়াড় এবং চারটি দলের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
সন্দেহভাজন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছয়জন জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার, দুজন নতুন মুখ (আনক্যাপড), এবং দুজন বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন। দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্দেহের তীরদুর্বার রাজশাহীওঢাকা ক্যাপিটালসেরদিকে, যাদের বিরুদ্ধে ১২টি করে সতর্কবার্তা (ইন্টিগ্রিটি ফ্ল্যাগ) উঠেছে। এছাড়া,সিলেট স্ট্রাইকার্সেরবিরুদ্ধে ৬টি এবংচিটাগং কিংসেরবিরুদ্ধে ২টি সতর্কবার্তা রয়েছে।
নিম্নলিখিত আটটি ম্যাচকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে দুর্নীতি দমন ইউনিট—
- ফরচুন বরিশাল বনাম রাজশাহী(৬ জানুয়ারি)
- রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা(৭ জানুয়ারি)
- ঢাকা বনাম সিলেট(১০ জানুয়ারি)
- রাজশাহী বনাম ঢাকা(১২ জানুয়ারি)
- চিটাগং বনাম সিলেট(১৩ জানুয়ারি)
- বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স(২২ জানুয়ারি)
- চিটাগং বনাম সিলেট
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, "এখনই কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করা সম্ভব নয়, কারণ তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তবে যদি কারও বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।"
বিপিএলে ফিক্সিং নতুন কিছু নয়। ২০১৩ সালে স্পট-ফিক্সিং ও ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কমোহাম্মদ আশরাফুলআট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, যার মধ্যে তিন বছরের শাস্তি স্থগিত ছিল। এর জেরে ২০১৪ সালের বিপিএল স্থগিত করতে হয়।
বর্তমানে চলমান তদন্তের ফল কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে ক্রীড়ামহলে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে বোর্ডের কড়া অবস্থান দেখে অনেকেই মনে করছেন, এবার দোষীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।