ঢাকা, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: ম্যাচ ফি*ক্সিং কে*লে*ঙ্কা*রিতে তিন তারকা ক্রিকেটার গ্রে*প্তা*র

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৯ ২২:০০:৫৪
এইমাত্র পাওয়া: ম্যাচ ফি*ক্সিং কে*লে*ঙ্কা*রিতে তিন তারকা ক্রিকেটার গ্রে*প্তা*র

ক্রিকেটবিশ্ব আবারও কাঁপলো পুরোনো ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের পুনরুত্থানে, ২০১৫-১৬ মৌসুমের টি-টোয়েন্টি র‍্যাম স্লাম চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিন ক্রিকেটার—লনওয়াবো টটসবে, থামি সোলেকিলে এবং ইথি এমবালাটি।

দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি দমন সংস্থা ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (ডিপিসিআই) দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৮ বছর পর এই তিনজনকে ভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। ইথি এমবালাটিকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৮ নভেম্বর। পরে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন টটসবে এবং সোলেকিলে।

২০১৬ সালে ডিপিসিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে, ভারতীয় এক বুকির সঙ্গে মিলে এই ক্রিকেটাররা টুর্নামেন্টের তিনটি ম্যাচে ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টায় জড়িত ছিলেন। ফিক্সিংয়ের এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরপরই তাদের ওপর আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা গড়িয়েছে আদালতে। প্রিটোরিয়া বিশেষ কর্মাসিয়াল ক্রাইম কোর্টে এমবালাটির মামলাটি আগে স্থগিত করা হলেও, নতুন শুনানিতে তা আবারো উঠে এসেছে। অন্যদিকে, সোলেকিলে ও টটসবেকে ২০০৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী পাঁচটি ভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ে এই তদন্তের সূত্রপাত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক ক্রিকেটার গুলাম বদি-কে নিয়ে। ২০১৫-১৬ মৌসুমের একই টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে ফিক্সিংয়ে প্রণোদনা দেওয়ার প্রমাণ মেলায় ২০১৯ সালে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গুলাম বোদির ঘটনার সূত্র ধরেই ডিপিসিআইয়ের নজরে আসে টটসবে, সোলেকিলে ও এমবালাটি। বোদির মতো তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে, বুকির সহায়তায় তারা টুর্নামেন্টের ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।

লনওয়াবো টটসবে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার। ৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেওয়া এই বাঁহাতি বোলার দীর্ঘদিন দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য ছিলেন। ব্যাটার থামি সোলেকিলে খেলেছেন মাত্র ৩টি টেস্ট ম্যাচ। তবে ইথি এমবালাটি ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ হলেও জাতীয় দলে কখনো সুযোগ পাননি।

ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নতুন কিছু নয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলাম বদি, আলভিনো মায়েওয়া এবং জেনথন হাউ-এর মতো ক্রিকেটাররাও অতীতে ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়ে শাস্তি পেয়েছেন।

ডিপিসিআইয়ের বর্তমান পদক্ষেপ প্রমাণ করে, অপরাধীরা যত পুরোনোই হোক না কেন, আইনের হাত থেকে তারা পালাতে পারবে না। তবে এই ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ভাবমূর্তি যে বড় ধাক্কা খেল, তা বলাই বাহুল্য।

ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন, কঠোর শাস্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের কেলেঙ্কারি বন্ধ হবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে যে কালো ছায়া দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তা পুরোপুরি মুছতে আরও সময় লাগবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে