ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চেয়ে যে ঘোষণা দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ নভেম্বর ২৮ ১৬:৩২:৪৮
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চেয়ে যে ঘোষণা দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি এবং দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ভারত থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা ও আইনজীবী হত্যার কড়া নিন্দা জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, "ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংস করে একটি মহল দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে এবং সব ধর্মের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।"

সম্প্রতি চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, "একজন পেশাদার আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।"

তিনি আরও বলেন, "মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ধরনের ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়, তা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্যও হুমকিস্বরূপ।"

শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, "অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা মানুষের ধর্মীয় অধিকার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। জনগণের জানমাল নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে তারা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।"

তিনি আরও বলেন, "এই সরকারের ব্যর্থতার মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদি তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।"

বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, "চট্টগ্রামে একটি মন্দিরে হামলা এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর আগেও মসজিদ, মাজার, গির্জা ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এসব হামলা দেশের শান্তি ও সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করছে।"

শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বলেন, "আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা-মামলা এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। এই ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।"

তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবাধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ান।"

শেখ হাসিনার এই বিবৃতি তার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন শক্তি যোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই বিবৃতি আরও উত্তেজনা তৈরি করবে কি না, তা এখন আলোচনার বিষয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ