ঢাকা, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২

হাসান

রিপোর্টার

শহীদ হাদি খু’নিদের নিয়ে বেরিয়ে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ০১:৪৩:১৯
শহীদ হাদি খু’নিদের নিয়ে বেরিয়ে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য!

হাসান: শরীফ ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে শুরু করেছে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এক রুদ্ধশ্বাস ও চাঞ্চল্যকর অধ্যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, এই হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের সীমান্ত পার করে নিরাপদে ভারতে পাঠানোর পুরো নেপথ্য কারিগর ছিলেন এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা। ভারত থেকেই তিনি রিমোট কন্ট্রোলের মতো খুনিদের পালানোর পুরো মিশনটি পরিচালনা করেছেন।

ভারতে বসেই ‘অপারেশন পাপ্পী’গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, খুনিদের দেশত্যাগের পুরো ব্যবস্থাপনার মূল হোতা ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মিরপুরের সাবেক কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে পাপ্পী। হত্যাকাণ্ডের সময় নিজে ভারতে অবস্থান করলেও সেখান থেকেই তিনি খুনিদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ নিশ্চিত করেন। এই মিশনে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আমিনুলকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় মোট ১১ জন শ্রীঘরে ঠাঁই পেলেন।

যেভাবে হলো সীমান্ত পারাপারতদন্তের তথ্য বলছে, হাদী হত্যাকাণ্ডের রাতেই প্রধান শুটার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তার সহযোগী আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে চম্পট দেন। গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে একাধিকবার যানবাহন পরিবর্তন করে তারা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে পৌঁছান। সেখান থেকেই তারা কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে পাড়ি জমান। এই কাজে হালুয়াঘাটের ‘ফিলিপ’ নামে এক কুখ্যাত দালালের সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

৫ হাজার টাকার ‘হত্যাকারী প্যাকেজ’তদন্তে উঠে আসা সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো খুনিদের পারাপারের খরচ। তাইজুলের নির্দেশ পেয়ে আমিনুল দ্রুত ব্যবস্থা নেন এবং পারাপারের খরচ হিসেবে অগ্রিম মাত্র ৫ হাজার টাকা পাঠান। এই সামান্য অর্থের বিনিময়েই খুনিদের সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দেয় দালাল চক্র।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি সীমান্ত পারাপার চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে জাল বিছিয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ