সদ্য সংবাদ
অবশেষে নির্বাচন ঘোষণা: কী বলছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথম ভাগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মতবিরোধ। বিএনপি আগেই দাবি করেছিল, নির্বাচন হতে হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরও দলটি তাদের অবস্থানে অটল রয়েছে।
ভাষণের পরপরই বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় জনগণ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। রমজান, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা এবং বৈরী আবহাওয়ার বাস্তবতা বিবেচনায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল।
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচন পেছানোর কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা ছিল না। বরং বন্দর ও কোরিডর ইস্যু এনে রাজনৈতিক শালীনতার সীমা অতিক্রম করা হয়েছে বলে দলটির অভিযোগ। তাদের মতে, এই ভাষণ সংকট নিরসনের বদলে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, যদি জুলাই সনদ এবং রাজনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেওয়া হয়, তাহলে তারা এপ্রিলেই নির্বাচনের পক্ষে থাকবে।
জামায়াতে ইসলামিও প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের আমির শফিকুর রহমান বলেন, এই ভাষণ জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামি। এনসিপি-র মতো নতুন দলের জন্য অতিরিক্ত সময় রাজনৈতিক প্রস্তুতির সুযোগ এনে দেবে, আর জামায়াত অতীত বিতর্কের বাইরে এসে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।
তবে রাজনৈতিক পরিবেশে জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা যেখানে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়, সেখানে এনসিপি ও জামায়াত সময় বাড়ানোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
এখন জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে— নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে দিলে তা কি দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে, নাকি আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে? সামনে সরকারের পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়াই আগামী দিনের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।
আশা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- লাফিয়ে কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- বিএনপির দুইটি বিষয়ে সম্মতি মিললেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- দেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- পাসপোর্ট মিলবে না এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- বাংলাদেশে বৃষ্টির আমেজ: দীর্ঘ তাপপ্রবাহ শেষে স্বস্তির বার্তা
- বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ সব ভাতা বাড়ছে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য