ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ড. ইউনূসকে সরালে লাভ কার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ২৬ ১৭:৩৩:৪১
ড. ইউনূসকে সরালে লাভ কার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫ আগস্ট এক নতুন মোড় নিয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল এক অভিন্ন দাবিতে—পরিবর্তনের ডাক নিয়ে।

সেই দিনে রাজপথে নেমেছিল ১৯৭১-এর পর সবচেয়ে বড় জনস্রোত। দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে জমে ওঠা ক্ষোভ রূপ নেয় প্রত্যয়ের আন্দোলনে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়—স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রত্যাশা নিয়ে।

এমন সময় সামনে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন: কে নেবেন জাতির দায়িত্ব? কে দেবেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং আন্তর্জাতিক আস্থার নিশ্চয়তা?

আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা নেতৃবৃন্দ আস্থা রাখেন আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক ব্যক্তিত্ব—নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে তিনি হয়ে ওঠেন অনেকের কাছে পরিবর্তনের প্রতীক।

ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে, বাজারে আস্থা ফিরে আসে, আইনশৃঙ্খলায়ও উন্নতির কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হতে শুরু করে।

তবে এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে কিছু দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে। বিশেষ করে ভারতের কিছু মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ওপর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সীমিত হতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে দিল্লি।

এদিকে, একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে ড. ইউনূস উদ্যোগী হয়েছেন। তবে সেই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে কিছু গোষ্ঠী সক্রিয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ্য একটাই—তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।

কিন্তু এখন দেশের ভেতরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সমাজ এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করেছে—ড. ইউনূসকে সরিয়ে দিলে শুধু রাজনৈতিক ক্ষতিই হবে না, তা সমাজ, প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তাই অধিকাংশ নাগরিক এখন চাইছে—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হোক অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং ড. ইউনূসের নিরপেক্ষ নেতৃত্বে। কারণ তারা বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দূরদর্শী, গ্রহণযোগ্য এবং জাতির কল্যাণে প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্বের ওপর।

এই মুহূর্তে, সেই দায়িত্ব পালনের জন্য ড. ইউনূসই সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি—এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ