সদ্য সংবাদ
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে বাংলাদেশ পড়তে পারে বাণিজ্যিক চাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আমদানি শুল্কনীতি বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আংকটাড) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশেষ করে তৈরি পোশাক এবং কৃষিপণ্যের মতো প্রধান রপ্তানি খাতগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। নতুন নীতির ফলে রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন বাজারে প্রবেশের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র ০.৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও ট্রাম্পের প্রবর্তিত শুল্কনীতির প্রভাবে দেশটি সরাসরি ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে।
বর্তমানে এই শুল্ক কার্যকরে ৯০ দিনের একটি স্থগিতাদেশ থাকলেও, আংকটাড আশঙ্কা করছে যে জুলাই মাস থেকে দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪৪ শতাংশ—যা দেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদন আরও বলছে, বিশ্ববাণিজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ভারসাম্য নীতির বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত বৈষম্য তৈরি করবে। এতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের উচিত বিকল্প বাজার অনুসন্ধান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে হবে যেন ভবিষ্যতে এমন নীতিগত পরিবর্তনের ধাক্কা সহজে সামাল দেওয়া যায়।