ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন: জনমনে উদ্বেগ ও প্রত্যাশার মিশ্র প্রতিক্রিয়া

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ২৩ ২১:১৪:২৯
ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন: জনমনে উদ্বেগ ও প্রত্যাশার মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা গুঞ্জনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। এ খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, দ্বিধা ও নানা প্রতিক্রিয়া।

বাংলাদেশ শোনা মিডিয়ার জনপ্রিয় ‘জনতা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নাগরিকদের মতামত থেকে উঠে এসেছে একটি পরিপূর্ণ চিত্র—যেখানে কেউ কেউ ইউনূসের নেতৃত্বকে দেশের জন্য আশীর্বাদ মনে করছেন, আবার কেউ সতর্ক দৃষ্টিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “উনি যখন দায়িত্ব নেন, তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৪ থেকে ২০ বিলিয়নের মধ্যে। এখন সেটা প্রায় ৩০ বিলিয়নে পৌঁছেছে। আগে ইউরোপীয় ভিসার জন্য ভারত যেতে হতো, এখন ঢাকাতেই সব হচ্ছে।”

অনেকে মনে করছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, তা হঠাৎ করে থমকে গেলে দেশ আবারও অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে। তাঁদের ভাষায়, “তিনি একজন সৎ ও ভদ্র মানুষ, যিনি রাজনীতির বাইরে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।”

তবে উদ্বেগও আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যদি ইউনূসের পদত্যাগ রাজনৈতিক চাপে হয়, তবে তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। ভারতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতাও ফিরিয়ে আনতে পারে অতীতের ‘প্রভাবিত’ সময়ের স্মৃতি।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, “বর্তমানে দেশে যে সীমিত পরিসরে হলেও স্থিতিশীলতা এসেছে, তা রক্ষা করার স্বার্থে ড. ইউনূসকে আরও কিছু সময় দেওয়া উচিত। তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে তারপর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়াই হবে শ্রেয়।”

সাধারণ মানুষের আবেদন একটাই—“উনি যেন হঠাৎ করে পদত্যাগ না করেন। বরং সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করেন।”

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন-

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ