সদ্য সংবাদ
বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বছরের প্রথম সকাল। চারদিক আনন্দ আর উৎসবে ভরপুর। শহর থেকে গ্রাম—বাংলার প্রতিটি প্রান্তে চলছে বৈশাখ বরণের প্রস্তুতি। কিন্তু সেই দিনই রাজশাহীর এক প্রত্যন্ত গ্রামে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশজুড়ে।
বাঘা উপজেলার মাঝপাড়া বাউসা গ্রামের কৃষক মীর রুহুল আমিন সকালবেলা যান আড়ানী রেলস্টেশনে। তিনি চুপচাপ বসে ছিলেন স্টেশনের পাশের একটি চায়ের দোকানে। দোকানদার হিটলার আলী জানান, বৃদ্ধ সেদিন স্বাভাবিকভাবেই চা ও বিস্কুট খেয়েছেন, আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে গল্প করেছেন, এমনকি বলেছিলেন, তিনি রাজশাহীতে যাবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল তিনটার দিকে তিনি দোকান থেকে উঠে চলে যান। তারপর যা ঘটলো, তা প্রত্যক্ষ করা যে কারোর জন্যই ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। রেললাইনের উপর গিয়ে প্রথমে দুবার চেষ্টা করেন ট্রেনের নিচে পড়তে, শেষবারে তিনি সফল হন।
এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় এবং দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওর সঙ্গে ছড়াতে থাকে মনগড়া গল্প—যে তার স্ত্রী মারা গেছেন, ছেলেরা দায়িত্ব নেয়নি, তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে, অনাহারে ছিলেন। এসব মনগড়া তথ্য ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু সত্যটা একেবারেই ভিন্ন।
যা জানা গেছে তা হলো—মীর রুহুল আমিনের স্ত্রী এখনো জীবিত। তার দুই সন্তান রয়েছে—এক মেয়ে যার বিয়ে হয়েছে ঈশ্বরদীতে প্রায় দুই যুগ আগে, আর এক ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। ছেলে, পুত্রবধূ, এমনকি নাতিও রয়েছে। পারিবারিক সম্পর্ক মোটামুটি ভালো ছিল।
তার ছেলে বলেন, “আব্বু কখনো আমাদের সঙ্গে জোরে কথা বলেনি। জানি না কী এমন কষ্ট পেলো যে আমাদের কিছু না বলেই এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলো। আমরা শুধু দোয়া করি, কেউ যেন এমন ভুল বোঝাবুঝির শিকার না হয়।”
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল ক্যাপশনগুলো বৃদ্ধের পরিবারকে চরম বিড়ম্বনায় ফেলেছে। প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাই যখন বিভ্রান্তিকর গল্প শুনে পরিবারকে দোষ দিতে শুরু করে, তখন তাদের জন্য একদিকে শোক আর অন্যদিকে অপমান বয়ে আনলো এই ঘটনা।
এই ঘটনার পর দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ মীর রুহুল আমিন কিছু টাকা লোকজনের কাছ থেকে নিয়ে পেঁয়াজ ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ লাভ তো দূরে থাক, মূল টাকার অর্ধেকও ফেরত পাননি। ব্যবসার ক্ষতি, বয়সজনিত মানসিক চাপ—সম্ভবত এসব মিলিয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
তবে পরিবার এখনও নিশ্চিতভাবে জানে না ঠিক কী কারণে এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। কারণ তিনি কাউকে কিছু বলেননি।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও দেখে মন্তব্য করা, শেয়ার করা, কিংবা কারও জীবন সম্পর্কে মতামত দেওয়া কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ক্যান্সার হওয়ার এক বছর আগেই শরীর যে সংকেত দেয়
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- মোটরসাইকেল মালিকদের জন্য বিআরটিএর কঠোর নির্দেশনা
- আবারও কমে গেল সোনার দাম
- তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ইরান
- নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল ভারত, শুরু নতুন বিতর্ক
- মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা
- ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা: জাপানে প্রাণহানি ঘটতে পারে প্রায় ৩ লাখ মানুষের
- ইরানের জন্য দুঃসংবাদ
- দাম কমিয়ে আজ ১ ভরি সোনার দাম কত হল
- ভারতের ওষুধ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
- বাংলাদেশে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- ঢাকা থেকে আটক নাঈমুর রহমান দুর্জয়
- ইরানকে শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!