সদ্য সংবাদ
ব্রেকিং নিউজ: ‘না’ ভোট, অনলাইন ভোটিং ও একাধিক আসনে নির্বাচন রুপরেখা দিল কমিশন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত একটি বড় সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশন তাদের সুপারিশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বন্ধ, 'না' ভোটের সংখ্যা বেশি হলে নতুন নির্বাচন আয়োজন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সীমিত করা।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একাধিক আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়েন, তবে সেই আসনের ভোট বাতিল হয়ে যাবে এবং সেখানে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এছাড়া, যদি কোনো আসনে 'না' ভোটের সংখ্যা বেশি হয়, তবে সেই আসনেও নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশন আরও প্রস্তাব করেছে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হলে, তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। একই ব্যক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধানের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করা নিষিদ্ধ করার সুপারিশও করা হয়েছে।
এছাড়া, জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৪০০ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০০ আসন নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। দ্ব chambersিক সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য উভয় কক্ষের সদস্যদের ভোট গ্রহণের বিধান চালু করার সুপারিশও করেছে কমিশন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস নির্ধারণ এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতির সুপারিশও উঠে এসেছে। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ এবং অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন।
বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, কমিশন মোট ১৬টি ক্ষেত্রের মধ্যে ১৫০টি সুপারিশ করেছে। এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং আধুনিক করা।