সদ্য সংবাদ
ব্রেকিং নিউজ: সচিবালয়ের পর এবার আদালতে আগুন

২০০৯ সালে বিডিআর পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের মামলায় দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকা ৮৩৪ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি নিয়ে ইতোমধ্যেই তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে আগুন লাগার ঘটনায় বিষয়টি আরও অনিশ্চয়তার দিকে গড়াচ্ছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে রহস্যজনক আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ৩টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও মাঠের প্রধান দুটি ফটক তালাবদ্ধ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। এ ঘটনায় এজলাস কক্ষসহ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জাম পুড়ে যায়।
চকবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এবং এটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। তবে এখনো অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার রাতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরক মামলায় কারাবন্দি ৮৩৪ জনের জামিন শুনানির কথা জানানো হয়। কিন্তু আদালতে আগুন লাগার ঘটনায় বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। বিচারক পরিদর্শনের পর বৃহস্পতিবারের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন এবং শুনানির নতুন তারিখ ১৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবিতে তাদের স্বজনরা গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার তারা রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান ধর্মঘট এবং বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, নিরপরাধ বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।
আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঠ থেকে অস্থায়ী আদালত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ড শিক্ষার্থীদের কাজ কিনা, এমন প্রশ্ন উঠলেও তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা জড়িত নয়; বরং অন্য কোনো মহল পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৩ সালে হত্যা মামলার রায় হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে। ৮৩৪ জন আসামি গত ১৬ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিচার প্রক্রিয়া এগোয়নি। এর মধ্যে অনেক বন্দির সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, অনেকে বেকসুর খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলায় আসামি হওয়ায় তারা এখনো বন্দি।
বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, "দ্রুত বিচার শেষ করে নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তি দেওয়া উচিত। এটি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা একটি মানবিক সংকট।"
সরকার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। তবে অস্থায়ী আদালতে অগ্নিকাণ্ড এবং জামিন শুনানির বিলম্ব এই সংকটকে আরও গভীর করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় বন্দি থাকা জওয়ানদের মুক্তি ও বিচার প্রক্রিয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। অস্থায়ী আদালতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জামিন শুনানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বন্দিদের স্বজন এবং সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে
- ক্যান্সার হওয়ার এক বছর আগেই শরীর যে সংকেত দেয়
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- আবারও কমে গেল সোনার দাম
- তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ইরান
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্নগুলো বারবার দেখে — কী বার্তা দেয় এই দৃশ্যগুলো
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!
- অবশেষে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক বার্তা
- মোটরসাইকেল মালিকদের জন্য বিআরটিএর কঠোর নির্দেশনা
- দু’দিনেই বড় পতন স্বর্ণের দামে, বিশ্ববাজারে ধস
- মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা
- ইরানের জন্য দুঃসংবাদ