ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হাসান

রিপোর্টার

অবিক্রিত সব মোবাইল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তের নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ২১:৫২:২১
অবিক্রিত সব মোবাইল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তের নির্দেশ

হাসান: দেশের বাজারে থাকা সব অবিক্রিত মোবাইল হ্যান্ডসেটকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিতকরণ (তালিকাভুক্তি) করতে মোবাইল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিরা।

বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল আমদানি ও ভেন্ডর এনলিস্টমেন্টের বিদ্যমান প্রক্রিয়া আরও সহজ ও গতিশীল করতে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

১. ন্যূনতম কাগজপত্রে দ্রুত ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট

এখন থেকে কম সংখ্যক কাগজপত্র জমা দিলেই দ্রুত ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ পাওয়া যাবে।ক্লোন, কপি, ব্যবহৃত বা রিফারবিশড মোবাইল আমদানি ঠেকাতে ম্যানুফ্যাকচারারের পাশাপাশি অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটরের প্রত্যয়নপত্র দিয়েও আমদানি অনুমোদন মিলবে।

২. আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব

দেশে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড হ্যান্ডসেট প্রবেশ বন্ধে এবং আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে বিটিআরসি।

৩. অবিক্রিত সব ফোন তালিকাভুক্তির সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর

ব্যবসায়ীদের অনুরোধ অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে থাকা সব অবিক্রিত হ্যান্ডসেটের তথ্য দিলে সেগুলো নিয়মিতকরণে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বিটিআরসি জানায়, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা–২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।

এদিকে বিটিআরসি ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রায় ৫০ লাখ অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট রয়েছে।

অবৈধ মোবাইল নিয়ন্ত্রণে NEIR

অবৈধ মোবাইল আমদানি বন্ধে বিটিআরসি নিজস্ব ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রি (NEIR) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এনইআইআর চালু হলে নকল বা অবৈধভাবে আনা মোবাইল পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কমবে এবং স্থানীয় মোবাইল শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে।

তবে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এনইআইআর চালুর ফলে সম্ভাব্য ক্ষতির উদ্বেগ জানিয়ে ৭ ডিসেম্বর বিটিআরসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

অন্যদিকে, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) ৮ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দেশে বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী এবং মুক্ত প্রতিযোগিতার বাজারে তারা স্বচ্ছভাবে কাজ করছে। এনইআইআর নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করে তারা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ