সদ্য সংবাদ
এবার ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আঘাত হানলো ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলার পাল্টা জবাবে ইরান এবার প্রথমবারের মতো তার উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘খায়বার’ ব্যবহার করেছে। এতে ইসরায়েলের অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়, যার ফলে তেল আবিবসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি ও ইরানি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) সূত্রে জানা গেছে, ‘খায়বার’ নামের এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রকৃত নাম ‘খোররামশহর-৪’। এটি ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত চতুর্থ প্রজন্মের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার এবং এটি ১,৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি (ম্যাক ১৬), যা একে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে।
ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় গত ২০ জুন রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালানো হয়। এতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের উন্নত প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। যদিও হতাহতের সংখ্যা কম, তবে অবকাঠামোগত ক্ষতি অনেক বেশি।
এর পেছনে প্রেক্ষাপট রয়েছে। গত ১৩ জুন মধ্যরাতে ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। সেই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলি রশিদসহ প্রায় ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
এই ঘটনার জের ধরেই ইরান তার জবাব দেয়। কিন্তু তা এখানেই শেষ নয়—২০ জুনের পাল্টা হামলার পর ২১ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ফলে এই সংঘাত আরও বিস্তৃত ও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
আয়শা/