সদ্য সংবাদ
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজা যুদ্ধ নিয়ে এবার বড় ধরনের সঙ্কটে পড়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেও, তারই দেশের সেনাদের মধ্যে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ। সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য এখন আর যুদ্ধ করতে চান না। কেউ সরাসরি দায়িত্ব ছাড়ছেন, কেউ আবার শুরু করেছেন যুদ্ধবিরোধী গণস্বাক্ষর অভিযান।
গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান হামলা, পরবর্তীতে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথিদের সঙ্গেও সংঘাতে জড়ানো—সব মিলিয়ে যুদ্ধ এখন এক বিস্তৃত রূপ নিয়েছে। এমনকি সিরিয়া ও তুরস্কের দিকেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এই টানা সংঘর্ষে ইসরায়েলি সেনারা মানসিক ও শারীরিকভাবে চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের ধকল, সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর স্মৃতি এবং যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা—সব মিলে সেনাবাহিনীতে তৈরি হয়েছে এক ধরনের ‘মোরাল ব্রেকডাউন’। স্থানীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, অনেক সেনা বাহিনী ছাড়ার জন্য আবেদন করছেন। কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত আহত হওয়ার পথও নিচ্ছেন শুধু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক এখন যুদ্ধের বিপক্ষে। এই সংখ্যাটা সেনাবাহিনীর মনোভাবের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধ বিরোধী স্বাক্ষর অভিযান। হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা ও সাবেক সদস্য এতে অংশ নিয়েছেন। তারা বলছেন—জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হোক, যুদ্ধ থামানো হোক।
তবে সরকার এই বিদ্রোহকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দাবি করা হচ্ছে, প্রতিবাদকারী সেনারা হয় অবসরে গেছেন, না হয় দায়িত্বে নেই। এমনকি সরকার বলছে, সেনাবাহিনীর ভেতরে ‘উগ্রপন্থী ভাবাদর্শ’ ছড়িয়ে পড়ছে, যার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, বিক্ষোভ এবং যুদ্ধের খরচে ইতোমধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো। যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সাবেক জেনারেলসহ উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাও।
নতুন সেনা নিয়োগ ও রিজার্ভ সেনাদের আহ্বান জানিয়েও সরকার আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না। অনেকে বাহিনীতে যোগ দিলেও কিছুদিনের মধ্যেই আবার বিদায় নিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে, শুধু আন্তর্জাতিক মহলেই নয়, এখন নিজের দেশের ভেতরেও ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি কঠোর সমালোচনার মুখে। সেনাবাহিনীর ভেতরের বিদ্রোহ এবং জনগণের প্রতিবাদ নেতানিয়াহু সরকারের জন্য হয়ে উঠেছে এক গভীর সংকেত। পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ইসরায়েলকে সামনে মোকাবিলা করতে হতে পারে আরও বড় রাজনৈতিক ও সামরিক বিপর্যয়।
সাদিয়া/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, খোলা থাকবে সব সরকার প্রতিষ্ঠান
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- স্ত্রী-মাকে নিয়ে দ্বন্দ্ব, আত্মহত্যার আগে যা লিখলেন এএসপি পলাশ
- চিরকুটে ফাঁস করলেন দুঃখের গল্প, ভাই জানালেন আসল কারণ
- পাল্টা হামলায় কত সেনা হারাল ভারত, অবশেষে তথ্য দিল দিল্লি
- আব্দুস সাত্তার ও মেয়ে শেফা– আলোচিত ঘটনার নেপথ্যে উঠে এলো নতুন তথ্য
- ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আসছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বাংলাদেশের যে অঞ্চল
- আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা নিয়ে ইমিগ্রেশনের ব্যাখ্যা— বিতর্কের ঝড় দেশজুড়ে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা জানালো আমেরিকা
- পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- একই বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো কি ইসলামসম্মত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : কতদিন সরকারি ছুটি থাকবে
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাসে প্রথম তদন্ত সম্পন্ন
- দুই প্রতিবেশীর দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের স্পষ্ট বার্তা: ‘সংযম দেখান’
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর যা বলছে ভারত