ছবি- বাফুফে

আন্তর্জাতিক ফুটবলে বরাবরই ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল জামাল ভূঁইয়ারা। তবে এই বৃত্ত কিছুটা ভেঙে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল লাল-সবুজেরা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ফাইনালে উঠা না হলেও নান্দনিক ফুটবলই উপহার দিয়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শীর্ষরা। এজন্য ফুটবল সংশ্লিষ্টদের প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন তারা।

সাফের সেমিতে শেষ মুহূর্তের গোলে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট কুয়েতকে আটকে রেখে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ালেও আর সমতায় ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। আর এতেই ১-০ গোলে জিতে সাফের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে কুয়েত। পাশাপাশি দুই দশক পর সাফের ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে থাকলেও সেটি পূরণ হয়নি বাংলাদেশের।

সেমিফাইনালে হারলেও লাল-সবুজদের লড়াকু এই মনোভাব বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাজে লাগাতে চান স্প্যানিশ কোচ। তার (ক্যাবরেরা) ভাষ্য, এই মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র। আমাদের এই মানসিকতা ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ বাছাইয়েও দেখাতে চাই। আশা করি, বিশ্বকাপ বাছাইয়েও এমন বাংলাদেশকে দেখা যাবে।

বাংলাদেশের প্রাপ্তি সম্পর্কে ক্যাবরেরার দাবি, আমাদের দল এখন সাফের গণ্ডির বাইরে এশিয়ার দলগুলোর বিপক্ষে লড়তে পারে; এটাই আমার বড় পাওয়া। লেবানন, কুয়েতের বিপক্ষে আমরা সমান তালে লড়েছি।

তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশ দলের তরুণ ফুটবলার হৃদয়-মোরসালিনরা যেমন পারফরম্যান্স করেছেন, তেমনি সোহেল-জিকোরাও প্রাণ দিয়ে লড়েছেন। এখানেই বাংলাদেশ দলের সৌন্দর্য। এই দলে সিনিয়র ও জুনিয়রের অসাধারণ ভারসাম্য। সবাই সবার সেরাটা দিচ্ছে।