|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বড় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ঘরের মাঠে বরাবরই টার্নিং উইকেট বানায় ভারত। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সবশেষ সফরে ইংল্যান্ডকে স্পিন দিয়ে ঘায়েল করলেও বিশাখাপাত্নামে বেন স্টোকসের পুড়েছে জসপ্রিত বুমরাহর পেস আগুনে। এরপরই সৌরভ গাঙ্গুলি প্রশ্ন তুলেছেন বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজদেরম তো পেসার থাকার পরও ভারতে কেন টার্নি উইকেট বানানো হয়।

ঘরের মাঠে খেলা হলে ভারত সবসময়ই নির্ভর করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব কিংবা অক্ষর প্যাটেলদের ওপর। ফলে নিজেদের মাটিতে পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়। শুধু তাই নয় একাদশে থাকলেও বুমরাহ বাদে বাকিরা সেভাবে বোলিং করার সুযোগই পান না। হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ব্যাটিং করেছিল ৬৪.৩ ওভার। যেখানে বুমরাহ ৮.৩ ওভার এবং আরেক পেসার সিরাজ করেছেন মোটে ৪ ওভার।

দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১০২.১ ওভার ব্যাটিং করলেও দুই পেসার বুমরাহ ও সিরাজ মিলে করেছেন মোটে ২৩.১ ওভার। বাকি ৭৯ ওভারই করেছেন অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষর। এদিকে টেস্টের প্রথম ইনিংসে বুমরাহ ১৫.৫ ওভার বোলিং করলেও মুকেশ পেয়েছিলেন ৭ ওভার। যেখানে ইংল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি ব্যাটারকে আউট করেছেন পেসার বুমরাহ। ঘরের মাঠে স্পিনারদের সহায়তা নিলেও দেশের বাইরে ভারতকে জেতান শামি, সিরাজ, বুমরাহদের মতো পেসাররা।

বুমরাহর দারুণ বোলিংয়ের পর গাঙ্গুলি প্রশ্ন তুলেছেন এত ভালো ভালো পেসার থাকার পরও ঘরের মাঠে কেন টার্নিং উইকেট বানানো হয়। ‘এক্সে’ ভারতের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘যখন বুমরাহ-শামি-সিরাজ-মুকেশকে বল করতে দেখি, ভেবে আশ্চর্য হই যে ভারতে আমাদের কেন টার্নিং উইকেট তৈরি করতে হবে? আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত—এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হচ্ছে।’

স্পিন উইকেট বানিয়ে অশ্বিন, জাদেজা, অক্ষরদের ওপর বিশ্বাস রেখে সাফল্যও পেয়েছে ভারত। যদিও দেশের বাইরে খেলতে গেলে ভারতকে টেস্ট জেতান বুমরাহ, শামি, সিরাজরা। তবে ভারতকে বিপাকে পড়তে হয় ব্যাটিংয়ে। কদিন আগে সাউথ আফ্রিকাতে গিয়ে ব্যাটারদের দুর্দশাতেই টেস্ট হারতে হয়েছে রোহিত শর্মার দলকে। গাঙ্গুলি মনে করেন, টার্নিং উইকেটে খেলার কারণে ভারতের ব্যাটিংয়ের মান খারাপ হচ্ছে।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক এও বিশ্বাস করেন, অশ্বিন, জাদেজা, কুলদীপরা পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে পারলে পেসাররা যেকোনো পিচে ২০ উইকেট নিতে পারবে। গাঙ্গুলি বলেন, ‘অশ্বিন-জাদেজা-কুলদীপদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে তারা (পেসাররা) যেকোনো পিচে ২০ উইকেট নিতে পারবে। ঘরের মাঠে গত ৬-৭ বছরে ব্যাটিংয়ের মান উইকেটের কারণে খারাপ হচ্ছে। ভালো উইকেট জরুরি। ৫ দিন খেলেই ভারত জিতবে।’