|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেটির ওপর ভরসা করেই তাকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুর পথে শান্ত ছিলেন একেবারে এলোমেলো। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়শই কটু কথা শুনতে হতো শান্তকে। টানা ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের বছরে শান্তই বোধহয় সবচেয়ে বেশি ট্রল হওয়া ক্রিকেটার। ট্রলের শিকার হতে হয়েছে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করার পরও। যদিও নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট তার উপর রেখেছিলেন।

শান্তর মতো এমন একটা সময় পার করেছেন লিটন দাস। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন অনলাইন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তার রানের উপর ডিসকাউন্ট দিতেন। এমন সময় পেরিয়ে লিটন হয়ে উঠেছেন সবার পছন্দের মানুষ। ভিন্ন কিছু ঘটেনি শান্তর ক্ষেত্রেও।

সবশেষ বিপিএল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার শান্ত। সবশেষ আফগান্তিান সিরিজের একমাত্র টেস্টের দুই ইনিংসেও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লিটন জানান, অনুশীলন মেথড খানিকটা বদলেই সফল শান্ত। আর এভাবেই শান্ত ছন্দে দেখতে চান তিনি।

এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘দেখেন শান্তর জায়গায় আমিও ছিলাম কিছুদিন আগে। এসব নিয়ে শান্তর সঙ্গে আমার কথাবার্তাও হয়েছে। জানি না কতটুকু তাকে সাহায্য করেছে। তার হয়ত অনুশীলনের মেথড একটু বদল করেছে। আগে যেভাবে অনুশীলন করত এখন অনেক গোছানো। আপনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে থাকবেন নিয়মিত আপনি কিন্তু জানবেন আপনার ঘাটতি কি।’

‘কোন জায়গায় আপনি শক্তিশালী, কোন জায়গায় আপনি দুর্বল। সে তার জিনিসটা খুব ভালোভাবে খুঁজে পেয়েছে। ওভাবেই অনুশীলন করেছে। এটা ভালো দিক। আমি চাইব ও যেভাবে খেলছে এটা যেন ধরে রাখে। খারাপ সময় আসবে যাবে। ও যদি ধরে রাখতে পারে, কীভাবে সফল হয়েছে মনে রাখে তাহলে সাফল্য পাবে।’

২০১৯ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে নিজেদের প্রথম দেখাতেই টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ। কয়েক বছর পর সেই হারের যেন প্রতিশোধ নিলো স্বাগতিকরা। সিরিজের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি হাশমতউল্লাহ শাহিদীর দল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আফগানরা হেরেছে ৫৪৬ রানে। এমন জয়ের জন্য শান্তদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন লিটন। কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি দারুণ বোলিং করা তাসকিন-শরিফুলদেরও।

লিটন বলেন, ‘অবশ্যই এটা তো যখন চাইবেন তখনই হবে না এরকম একটা ব্যবধান। এটার জন্য কৃতিত্ব ব্যাটারদের কারণ উইকেটটা এত সহজ ছিল না। প্রতিটা ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সত্য কথা আমাদের বোলাররাও খুবই ভালো বল করেছে। লাইন লেন্থ মেনে বল করেছে। এটা টেস্ট ক্রিকেট কাজে বড় অর্জন। এরকম জিততে পারলে এর থেকে বড় কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। অধিনায়ক হিসেবে এরথেকে বড় ব্যবধানে চাইতে পারেন না কখনো।’