ছবি- সংগৃহীত

ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ের স্বাদ পায় ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের ঐতিহাসিক সেই জয়ের সম্মুখ সাক্ষী হয়েছেন জাতীয় দলের দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তুরস্কের আতার্তুক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মাঠে বসে তিনি উপভোগ করেছিলেন ম্যাচটি।

আঙুলের চোটে অনেক আগেই সাকিব আল হাসান ছিটকে গেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষের একমাত্র টেস্ট থেকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন পাওয়া সেই চোটের পর পরিবারকে সময় দিতে পরিবারের কাছে চলে যান বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পরদিনই সাকিব হাজির হয়েছিলেন হোম অফ ক্রিকেটে। হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনা সেরে শুরু করেন ইনজুরি থেকে ফেরার জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

ব্যক্তি সাকিবকে বোঝা বড় দায়। টানা ভ্রমণ ও অনুশীলনের মধ্যে থাকার পরও ফুটবলের প্রতি ছোটবেলার প্রেমের কারণেই মাঠে বসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল দেখতে তিনি উড়াল দেন ইন্তাম্বুলে।

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে পরদিন ফিরে আসেন দেশে। এসেই শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে সারেন ব্যক্তিগত দাপ্তরিক কিছু কাজ।

সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে গিয়েছিলেন মোবাইল প্রতিষ্ঠান অপোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে। আর এই অপো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অফিসিয়াল গ্লোবাল পার্টনার।

ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগরে ফাইনাল উপভোগ করাটা ছিল আমার কাছে একটি ‘মিরাকল’ এর সাক্ষী হবার মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে- কঠোর পরিশ্রম এবং সংকল্পের মাধ্যমেই বড় বড় সফলতাগুলো অর্জন করা যায়, শুধু ভাগ্যক্রমে কিছু হয় না। এই অতুলনীয় অভিজ্ঞতা আমাকে আমার নিজের জীবনেও আরো বেশি অধ্যবসায় ও সফলতার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।’

ইনজুরির কারণে আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না থাকলেও ওয়ানডে সিরিজের মধ্য দিয়ে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। এমনটাই আশা বোর্ডের মেডিক্যাল ইউনিটের।